আর রাজী : অপমান প্রাপ্য তাদেরও। দুদক সিগমা হুদা ও তার কন্যাদ্বয়ের বিরুদ্ধে টাকা পাচারের মামলা করেছে। প্রতিদিন এদেশ থেকে নানাভাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোতে শত শত কোটি টাকা পাচার করে এদেশের অপেক্ষাকৃত অপরিচিত শিক্ষিত মানুষও। সিটিজেনশিপ নেয়, সন্তানদের পড়ায় ইত্যাদি নানা কিছুর উসিলায় প্রাথমিকভাবে এর-তার হাত দিয়ে শুরু হয় টাকা পাচার, তারপর হুন্ডি চলে।
নানাভাবে বানানো কালো টাকা চলে যায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি দেশে। একসময় দেশের সহায়-সম্পদ বিক্রি করা অর্থও অম্লান বদনে, গর্বের সঙ্গে পাচার করে এদেশের রক্তচোষা বদ শিক্ষিত-বাঙালি। এসব জানা কথা। তাদের আজ হোক কাল হোক অবশ্যই খুঁজে খুঁজে বিচারের আওতায় আনতে হবে। তবে এ কথা বলার জন্য এই লেখার অবতারণা নয়, এই লেখা এই কথা বলতে যে, চোরের টাকা, চুরির টাকা, দুর্নীতির টাকার প্রতি ওই অসভ্য দেশগুলোর লোভ যতোদিন থাকবে ততোদিন এই পাচার বন্ধ করা হবে দুরূহ।
আমরা হয়তো খুব নিকট ভবিষ্যতে এই চোরদের দেশগুলোর বিরুদ্ধে কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারবো না, তাদের জনগণও এ বিষয়ে সরকারকে কিছু বলবে না সহসা। কিন্তু আমরা তাদের ঘৃণা তো করতে পারি। আমরা তো এই শ্লাঘা বোধ করতে পারি যে, আমার দেশের জনগণের জীবনে চুরির টাকা, চোরের টাকা, কলোনির টাকার অবদান নেই। অথচ ওই সব অসভ্য দেশের প্রতিটি নাগরিকের রক্ত দূষিত এই বিন্দু বিন্দু চুরির টাকায়। এটা কি বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে যে, তারা দুনিয়ার সব বোঝে অথচ তার দেশ চুরির টাকার গন্তব্য, চোরদের আশ্রয়স্থলÑ এটা বোঝে না? সুতরাং অন্তত অপমান আর অশ্রদ্ধা তাদেরও প্রাপ্য। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :