সানজীদা আক্তার : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিকে ধারণ করে ধন্য হওয়ার পাশাপাশি ঐতিহাসিক স্থাপনায় পরিণত হয়েছে অনেক জায়গা। এর মধ্যে অন্যতম বঙ্গবন্ধুর পূর্বপুরুষদের স্মৃতিময় টুঙ্গিপাড়া। চ্যানেলআই
শস্য-শ্যামলা আর প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য্যে শোভিত গোপালগঞ্জ। তখন নৌকায় অনেক সময় লাগলেও এখন জেলা শহর থেকে আধ-ঘণ্টা দূরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়া।
বঙ্গবন্ধুর পূর্বপুরুষরা ছিলেন ইরাক থেকে আসা দরবেশ শেখ আউয়ালের বংশধর। খুলনা থেকে তারা টুঙ্গিপাড়ায় আসেন। বঙ্গবন্ধুর এ আদিবাড়ির দালানগুলোর দু’য়েকটি এখনো টিকে আছে। প্রায় আড়াইশ বছর পুরনো এ স্থাপনাগুলো বঙ্গবন্ধুর পূর্বপুরুষরা নির্মাণ করেছিলেন।
জমিদারির সাথে ভাল ব্যবসাও ছিলো তাদের। মুজিবপিতা শেখ লুৎফর রহমান ও মুজিবমাতা সায়েরা খাতুনের টিনের ঘর ছিল। টিনের সেই ঘরেই ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন শেখ মুজিবুর রহমান। ওই ঘরটির জায়গায় নতুন এ ভবন তৈরি করা হয়েছে।
তখনকার সেই টিনের ঘরেই শেখ মুজিবের বউ হয়ে এসেছিলেন রেনু নামে পরিচিতি তার চাচাতো বোন শেখ ফজিলাতুন্নেসা। রেনুর যখন ৩ বছর বয়স তখন ১৩ বছরের শেখ মুজিবুরের সাথে তার বিয়ে হয়। এখনকার ভবনের পাশেই ছিল রেনুদের ঘর।
ঐতিহ্যবাহী শেখ পরিবারের কয়েকটি বড় পুকুর দেখা যায় বঙ্গবন্ধুর পৈতৃক বাড়িতে। ছোটবেলায় এসব পুকুরেই সাঁতরে বেড়াতেন দূরন্ত মুজিব। শত বছর পুরনো এ হিজল গাছে সদলবলে ঝাঁপ দিতেন খালের পানিতে। এমনটাই বলছেন, বঙ্গবন্ধুর চাচাতো ভাই শেখ বোরহানুদ্দিন।
বাল্যকাল থেকেই নেতৃত্বের বিকাশ ঘটেছিল বঙ্গবন্ধুর মধ্যে, যা ছাত্রজীবনে গিয়ে আরও বিকশিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :