ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম ব্যাচের ছাত্র হাফিজ। হাত,পা অকার্যকর! মুখ দিয়ে লেখেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। জবির ১ম সমাবর্তনে অন্যদের মত গাউন পড়েছেন এই হার না মানা অদম্য জবিয়ান!
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৪ বছর পর আজ শনিবার প্রথমবারের মতো সমাবর্তন হতে যাচ্ছে। প্রায় ১৯ হাজার স্নাতক ও অন্যান্য ডিগ্রিধারী শিক্ষার্থীরা প্রথাগত কালো গাউন আর টুপি পরে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে শোভাযাত্রা ও দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হবে। এ জন্য বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন ধূপখোলা মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে দেড় লাখ বর্গফুটের বিশালাকৃতির প্যান্ডেল।
সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার বসাক। বিশেষ অতিথি থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। স্বাগত বক্তব্য দেবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন আহমদ। প্রথমবারের মতো সমাবর্তন হওয়ায় গতকাল অনুষ্ঠানস্থলে স্নাতক শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি প্রস্তুতিমূলক মহড়া করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১৮৫৮ সালে টাঙ্গাইলের বালিয়াটির জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরী পুরান ঢাকায় একটি ব্রাহ্মস্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তী সময়ে ১৮৭২ সালে তার বাবার নামানুসারে এর নাম ‘জগন্নাথ স্কুল’ করা হয়। ১৮৮৪ সালে এই স্কুল দ্বিতীয় শ্রেণির কলেজ, ১৯০৮ সালে প্রথম শ্রেণির কলেজ ও ১৯৬৮ সালে পরিণত হয় সরকারি কলেজে। সর্বশেষ ২০০৫ সালের ২০ অক্টোবর জাতীয় সংসদে ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যাল আইন-২০০৫’ পাসের মাধ্যমে এই কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করা হয়। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৬০ হাজার শিক্ষার্থী স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন।
সমাবর্তন উপলক্ষ্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘সমাবর্তন প্রতিটি শিক্ষার্থীর প্রত্যাশায় থাকে। প্রথম এত বড় আয়োজন করাটা চ্যালেঞ্জিং ছিলো। এই সমাবর্তন উপলক্ষে আমরা কয়েকটি কমিটি করেছিলাম। কমিটির লোকরা অত্যন্ত পরিশ্রমের সঙ্গে সব কাজ করেছেন। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :