খুজিস্তা নূর ই নাহরিন : রেপিস্ট বা ধর্ষক নিয়ে অনেকের মনে সন্দেহ। রাস্তার মানুষ কী করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মেয়েকে রেপ করতে পারে? আমি পুরুষ নই তাদের মনোজগৎ আমার জানা নেই, কিন্তু সুস্থ-স্বাভাবিক বিবেকবান একজন মানুষের পক্ষে কেবল যৌন তাড়নায় তাড়িত হয়ে একটি অপরিচিত মেয়েকে রেপ করা অসম্ভব বলে মনে করি। এই লোকটাই রেপিস্ট। ভালো করে তাকিয়ে দেখেন ভাবলেশহীন চেহারা। ধর্ষণ যে অন্যায় জঘন্য অপরাধ এই লোকটির তা জানা নেই। তারা রাস্তার মানুষ, পশু আর মজনুতে তফাৎ নেই। কুকুরের সঙ্গে তুলনা করলাম না, কারণ কুকুর কখনো রেপ করে না, দুজনের সম্মতিতে ভালোবেসেই করে। নারী হিসেবে বলছি নোংরা বর্বর পুরুষ যখন কামতাড়িত হয় তখন সে তার যোগ্যতা, ক্ষমতা, বয়স, সম্পর্ক, ক্লাস কিছুই দেখে না। আপনার সন্তান সে মেয়ে/ছেলে যাই হোক নিরাপদে রাখার চেষ্টা করুন। ছেলে শিশুরাও ধর্ষিত হয়, কিন্তু তারা বলতে পারে না। ধর্ষণ করা এক ধরনের মনোবৈকল্য তারা ভয়াবহ পৈশাচিকতায় অন্যের জীবনকে ধ্বংস করে সমাজকে কলুষিত করে। তাদের বেঁচে থাকার কোনো অধিকার নেই। কন্যাসম মেয়ে আর তার পরিবারকে বলছি, স্যালুট আপনাদের সমাজ আর লোকলজ্জাকে ভয় না করে নৃশংস অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হয়েছেন। মজনুর ছবি দেখে আমারও ইচ্ছা হলো গিয়ে তার গালে দুটো চড় দিই। ঘৃণায় থুতু ছিটাই। মেয়েটিকে এই অপ্রত্যাশিত নৃশংসতা বয়ে বেড়াতে হবে চিরকাল। নিশুতি রাতে ঘুম ভেঙে একা একা কাঁদবে। কারও মৃত্যু কামনা করা পাপ, কিন্তু একমাত্র মজনুর মৃত্যুই মেয়েটিকে ট্রমা থেকে বের হতে সাহায্য করবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :