শিরোনাম

প্রকাশিত : ১১ জানুয়ারী, ২০২০, ০৪:৫৭ সকাল
আপডেট : ১১ জানুয়ারী, ২০২০, ০৪:৫৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আপনি নারী নির্যাতনকে শ্রেণিবিভাজনে ফেলে দেখলে কোনোদিনই এই অপরাধ কমবে না

দীপু তৌহিদুল : ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণ ইস্যুতে আপনি সোচ্চার, এটা অবশ্যই ভালো। অথচ এই দেশের কোণা-কঞ্চিতে নিত্য ঘটা খুব সাধারণ কন্যাসন্তান ও নারী নির্যাতনের ব্যাপারে আপনি বিমুখ। এটা মারাত্মক মানবিক অপরাধ মনে করি। ধর্ষণেরর শিকার কন্যাসন্তান ও নারীর পরিচয় এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা কোনো মুখ্য বিষয় হতে পারে না প্রতিবাদ করার ক্ষেত্রে। আপনি নারী নির্যাতনকে শ্রেণিবিভাজনে ফেলে দেখলে কোনোদিনই এই অপরাধ কমবে না। উন্নত সভ্য দেশেও নারী নির্যাতন ঘটে, কিন্তু তারা নিরপেক্ষভাবে সকল অন্যায়ের প্রতিবাদ ও বিচার দাবি করে বিধায় একটা শক্ত প্ল্যাটফরম সব সময় তৈরি হয়েই থাকে। যে দেশের লোকজন তাদের ভোটাধিকার যথাযথ প্রয়োগ করতে পারে না, বাকস্বাধীনতা বাঁধার মুখে থাকে, সেসব দেশের অপরাধ গ্রাফ কোনোদিন কমবে না। কারণ ন্যায় বিচার আসল জায়গাতেই ক্ষতিগ্রস্ত। বাংলাদেশের অপরাধীরাও বুঝে গেছে, অপরাধ করে পার পেতে হলে কী কী করতে হয় বা হবে। এই পার পেতে কারা আসলেই সাহায্য করে সেটাও জনগণ বুঝে, অথচ তারা অসহায় নয়, মূলত তাদের অসহায় করে রাখা হয়েছে। নিরপেক্ষ নির্বাচন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা, জনগণের সঠিক মূল্যায়ন যতোদিন পর্যন্ত না ঘটবে, ততোদিনই অপরাধ না কমে শুধু বাড়তে থাকবে। এই দেশে অপরাধীদের ছাতা আছে, যা জনগণের নেইÑ এটাই নির্মম সত্যি। এখানকার নাগরিকেরও চরম দোষ রয়েছে, এরা চামবাজিতে ওস্তাদ স্বার্থপরতার প্র্যাকটিসের পাশাপাশি। নাগরিক চিন্তা ধারাকে সভ্য করতে হবে সুস্থ ও নিরপদে বাঁচতে চাইলে। এরেতারে ভয় পেয়েও কোনো লাভ নেই, যতো ভয় ততো মার খেতে হবে মুফতে। পরের ধমক খেয়ে বেঁচে থাকার চাইতে মরে যাওয়াটা শ্রেয়তর। সূর্য সেন, প্রীতিলতাদের স্বাধীন চিন্তা আমরা কখনো ধারণ করি নাই। দুইশ বছর ব্রিটিশ গোলামির জের হিসেবে দাস হিসেবে যে মানসিকতা মননে গেড়ে বসে আছে, ওটা দূর করা খুব সহজ নয়, এটা থেকে বের হবারও কোনো চেষ্টা নজরে আসে না। টাউট, বাটপার ও ভ- মন নিয়ে খুব একটা এগোনো যায় না, যেটাকে আমরা এগোনো বলি - সেটা আসলে পেছানো। আমরা পেছাচ্ছি এটাই বাস্তবতা। বিচ্ছিন্ন কথন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়