সুজন কৈরী : স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ২০১৪ সাল থেকে রাজধানীর ধানমন্ডির ৭/ই নম্বরস্থ রোডের ১০ নম্বর বাড়িতে দুই কক্ষবিশিষ্ট বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন জাল টাকাসহ র্যাবের হাতে আটক সাইফুল ইসলাম। কিন্তু এলাকায় তার ব্যবসার কথা জানতেন না কেউ। মহল্লার ভাড়াটিয়া, বাসিন্দা ও দোকানদারদের সঙ্গে সবসময় হাসিমুখে কথা বলতেন। ভালো ব্যবহার করতেন। কিন্তু রাত হলেই তৈরি করতেন জাল নোট। এরপর ছাড়তেন বাজারে। তার বাসাতেও আসতেন অন্য জাল টাকা কারবারিরা। শুক্রবার র্যাবের অভিযানে সাইফুল আটক হওয়ার পর এলাকাবাসী অবাক হয়েছেন। সাইফুলের আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে এক লাখ ৯০ হাজার জাল নোটসহ শাহ আলম নামের একজনকে আটক করে র্যাব। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যেই সাইফুলের বাসায় অভিযান চালানো হয়।
র্যাব অভিযানকালে সাইফুলের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ওয়্যারড্রব এবং খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করে কোটি টাকারও বেশি ৫০০ ও ১০০০ হাজার টাকার জাল নোট। উদ্ধার করা হয় জাল নোট তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জামও।
অভিযানের সময় র্যাব সদস্যরা বাসার যেখানেই হাত দিয়েছেন, সেখান থেকেই শুধু জাল টাকার বান্ডিল উদ্ধার করেছেন। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার অভিযানে এত জাল টাকা উদ্ধার হয় যা গুণতে গিয়ে রীতিমতো কাহিল হয়ে পড়েন র্যাব সদস্যরা। এসব টাকার বান্ডিল পরে একটি খাটে এবং টেবিলে সাজানো হয়। যা দেখে যে কারো মনে হবে এটা টাকার খাট!
ঘটনাস্থলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১০ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি কাইয়ুমুজ্জামান খান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আটক দুইজন আগে গ্রেপ্তার হয়েছিল কি-না আমাদের অপরাধীর ডাটা বেজ পর্যালোচনা করে বলা সম্ভব হবে।
আপনার মতামত লিখুন :