মুসফিরাহ হাবীব : যুক্তরাজ্যের প্রিন্স হ্যারি এবং তার স্ত্রী মেগান মার্কল সদ্য রাজ দায়িত্ব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এরপরই ব্রিটিশ রাজপরিবারে রীতিমতো ঝড় ওঠে। তার জেরে লন্ডনের মাদাম তুসো জাদুঘরের রাজপরিবারের থেকেও সরিয়ে দেওয়া হল ডিউক এবং ডাচেস অফ সাসেক্সকে।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের বাকিদের থেকে হ্যারি ও মেগান বরাবরাই অন্যরকম। ছোট ছোট নানা ঘটনায় সে পরিচয় দিয়েছেন তারা। কিন্তু তা বলে তারা এমন সিদ্ধান্ত নেবেন, তাও রাজ পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে? এমনটা কেউই আঁচ করতে পারেনি। বুধবার আচমকাই ডিউক এবং ডাচেস অফ সাসেক্সের ঘোষণা দিয়ে বসেন, ‘সিনিয়র রয়্যাল’ হিসেবে আর গণ্য হতে চান না তারা। যার অর্থ, রাজপরিবারের সঙ্গে আর লন্ডনে থাকবেন না তারা। রাজকোষের অর্থ ব্যবহার না করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করবেন।
পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের সঙ্গে কোনও আলোচনা না-করেই এই সিদ্ধান্ত নেন মেগান-হ্যারি। আপাতত রাজপরিবারের অন্য কেউ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। বুধবারের বিবৃতিতে হ্যারি-মেগান বলেছেন, অনেক ভেবেচিন্তে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। অর্থনৈতিকভাবে স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা চালাতে কিছু সময় ব্রিটেন, বাকি সময় উত্তর আমেরিকায় কাটাবেন। তবে, ব্রিটেনের রানি, কমনওয়েলথ এবং পৃষ্ঠপোষকদের প্রতি দায়িত্ব পালনে কোনও ত্রুটি রাখবেন না।
‘দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট’ পত্রিকা জানায়, এ ঘোষণার পরই মাদাম তুসো মিউজিয়াম কর্তৃপক্ষ জানায়, হ্যারি ও মেগানের মোমের মূর্তি আগে রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়, প্রিন্স ফিলিপ, প্রিন্স চার্লস ও তার স্ত্রী ক্যামিলা, প্রিন্স উইলিয়াম ও কেট মিডলটনের সঙ্গেই থাকত। তবে এখন আর এ জুটির মূর্তি রাজ পরিবারের সেটের সঙ্গে থাকবে না। সেগুলি সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
হ্যারি ও মেগান গতবছর অক্টোবরেই বলেছিলেন,রাজ পরিবারের সদস্য হিসেবে সারাক্ষণ গণমাধ্যমের নজরে থাকতে হয় বলে ব্যক্তিগত জীবন কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তার তিন মাসের মাথায় তারা নিজেদের ইনস্টাগ্রাম পাতায় রাজ পরিবার ছ
আপনার মতামত লিখুন :