শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ১০ জানুয়ারী, ২০২০, ০৭:০৯ সকাল
আপডেট : ১০ জানুয়ারী, ২০২০, ০৭:০৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধর্ষক বাস করে পুরুষের মগজের দুনিয়ায় আমাদের ভদ্রবেশী পোশাকে নয়

লীনা পারভীন : ছোটবেলায় কুমিল্লায় আমরা যে বাসাটায় থাকতাম তার পেছনেই ছিলো বড় খেলার মাঠ। টিনশেডের বাসার একটা জানালা ছিলো মাঠের দিকে। আমি সেই জানালায় বসে বিকেলের দিকে পিছনের মন্দির ও এতিম খানার ছেলেদের ফুটবল খেলা দেখতাম। তখন দেখতাম দুই একটা ছেলে তাদের লুঙ্গি উপড়ে তুলে পুরুষাঙ্গটা মাঠের এক পাশে চড়ানো গরুর পেছনে চেপে ধরতো। ঘষাঘষি করতো। বুঝতাম না কী করে? আম্মাকে জিজ্ঞেস করলাম, আম্মা বলে দিলো জানালায় না বসতে। ছোট আমি তাও খেলা দেখতে ভালো লাগতো বলে জানালায় তাকাই দেখতাম। একজন ফকির আসতো বাসায়।

সে সুযোগ পেলেই লুঙ্গির নীচে হাত ঢুকিয়ে কী যেন নাড়াচাড়া করতো। আমি ভিক্ষা দিয়েই দৌড় দিতাম ভয়ে। খেলার মাঠে একজন প্যান্ট-শার্ট পরা লোক এসে দাঁড়াতো মাঝেমাঝেই। লোকটা অনায়াসেই চেইন খুলে পেনিস বের করে ঘষতো। ক্যাম্পাসে থাকতে রিকশাওয়ালা মামাদের লুঙ্গির নীচে হাত ঢুকানোর কাহিনি তো নতুন নয়। সিএনজি যারা চড়ে (নারীরা) তারা জানেন সিএনজি ওয়ালারা একধরনের লুক দেয় আপনার দিকে। সিটে বসে বারেবারে লুকিং গ্লাস ঠিক করে তাকিয়ে থাকে। আমার আজকেও এমন অভিজ্ঞতা হলো। সিএনজি ওয়ালা গ্লাসে বারবার পেছনের দিকে তাকাচ্ছিলো।

অস্বস্তিতে পড়তে হয় প্রায়শই। এগুলোকে আপনি কী ব্যাখ্যা দেবেন বলেন? সিএনজি ওয়ালাদের কাছে বা রিকশাওয়ালাদের অনেকের কাছে আপনার কোনো শ্রেণি আছে? আছে আর সেটা কেবল আপনি ‘নারী’ শ্রেণির অন্তর্গত। আর কোনো শ্রেণিভেদ তাদের কাজ করে না। এমন হাজারো কাহিনি বলতে পারবো যেখানে প্রতিটা পুরুষই ছিলো/আছে ধর্ষকের জাতভাই। এরা সুযোগ পেলেই ধর্ষণ করতো। ধর্ষক ধর্ষকই হয়। আমাদের চারপাশে এমন প্রচুর ধর্ষক ঘুরে বেড়াচ্ছে। একজন নারী কেবল বুঝতে পারে কোন পুরুষের দৃষ্টি কেমন। আমাদের আশেপাশে স্যুটেড বুটেড ভদ্রলোকেরা সুযোগ পেলেই আপনার সঙ্গে নানা ভঙ্গিতে আলাপ জুড়ে দেবে। প্রথমে টোকা দেবে আর যদি দেখে টোকায় কাজ হয়ে গেছে তখন আরও একধাপ এগোবে। ভদ্রলোকের পোশাক পরে থাকলেই ভদ্রলোক হয় না। ভদ্রলোক বাস করে অন্তরের মাঝে, মগজের দুনিয়ায়। তাই ধর্ষক বাস করে পুরুষের মগজের দুনিয়ায়, আমাদের ভদ্রবেশী পোশাকে নয়। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়