শিরোনাম
◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ০৯ জানুয়ারী, ২০২০, ১০:২০ দুপুর
আপডেট : ০৯ জানুয়ারী, ২০২০, ১০:২০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে এম সাখাওয়াৎ হোসেনের জয়নগরের জমিদার

ইমরুল শাহেদ : ইতিহাসের পটভূমিকায় এদেশে ১৯৬৭ সালে প্রথম নির্মিত হয় নবাব সিরাজউদ্দৌলা। পাকিস্তানি শোষণ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে ছবিটি নির্মাণ করেন খান আতাউর রহমান। এরপর আরও অনেক ছবি নির্মিত হয়েছে। স্বাধীনতার পর অবশ্য অনেক বছর পার হলেও থেমে থেমে দু’একটি করে ইতিভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। তবে স্বাধীনতার পর মানুষের মধ্যে মুল্যবোধে একটা পরিবর্তন এসেছে। ইতিহাসভিত্তিক দেশপ্রেমের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধেও মূল্যবোধ। এভাবেই অব্যাহত রয়েছে ইতিহাসের গতিধারার পথচলা। এর সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হলো এম সাখাওয়াৎ হোসেনের জয়নগরের জমিদার। মাঝে তিনি নির্মাণ করেছেন ভাওয়াল পরগনার ইতিহাস নিয়ে রাজা ভাওয়াল সন্যাসী। শাহ আবদুল করিমের গান সাধনার ইতিহাস নিয়ে ‘স্বর্ণ গহন বাউল সাধক’, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে ‘নক্ষত্রের রাজারবাগ’ ছাড়াও তিনি নির্মাণ করেছেন বেশ কয়েকটি ইতিহাসভিত্তিক তথ্যচিত্র। এর আগের বছর তিনি পল্লী কবি জসিম উদ্দিনের অমর কবিতা আসমানীর ছায়া অবলম্বনে নির্মাণ করেছেন আসমানী। ‘জয়নগরের জমিদার’ ছবিটির কাহিনী লিখেছেন আবু সাঈদ খান এবং চিত্রনাট্য, সংলাপ ও পরিচালনা করেছেন এম সাখাওয়াৎ হোসেন। ইতিহাস ভিজুয়ালে আনবার কারিসমা তার অসাধারণ।

ঢাকা নাট্যচক্রের থিয়েটারকর্মী এম সাখাওয়াৎ হোসেন মিডিয়া তথা চলচ্চিত্রাঙ্গনে বন্ধু বৎসল একজন সৎ মানুষের প্রতিকৃতি। শিল্পীদের সঙ্গেও তিনি সদা হাস্যেজ্জল এই মানুষটি নিরবে কেবল কাজই করে চলেছেন। জয়নগরের জমিদার সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি তার নিরীক্ষাধর্মী একটি কাজ। যেখানে তিনি নাম যশহীন সাধারণ একজন শিল্পীকে দিয়ে নাম ভূমিকায় অভিনয় করিয়ে নিয়েছেন। কেবল কাহিনী বলবার চমৎকারিত্ব আর নির্মাণ শৈলী প্রয়োগ করে একটি পরিপূর্ণ চলচ্চিত্র বানাবার সাহস দেখিয়েছেন। এ সাহস তিনি দর্শকের ভালবাসা থেকেই অর্জন করেছেন বলেও জানালেন।

প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একজন সাধারণ মানুষ, যিনি ব্যক্তি জীবনে রাজনীতিবিদ, তাকে নাম ভূমিকায় অভিনয় করিয়ে তিনি দেখাতে চেয়েছেন অধ্যবসায়, মেধাচর্চা আর অনুশীলন দিয়ে অনেক কিছু করা সম্ভব। তারই প্রমাণ জয়নগরের জমিদার চরিত্রে অভিনয় করা আবু সাঈদ খান।

এম সাখাওয়াৎ হোসেন তার চ্যালেঞ্জের কারণ জানিয়ে বলেন, চলচ্চিত্রের মার্কেটিং আজ এতোটাই হাস্যকর তথা ভয়াবহ অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যেখানে বিনিয়োগ করা খানিকটা পাপের সমতুল্য। একজন প্রযোজক ছবি নির্মাণ করে মুক্তির রাতে পোস্টার ব্যানারের টাকাও ফেরত না পেয়ে খালি হাতে বাসায় ফেরেন। এমন কাহিনী জানার পরেও যারা জেনেশুনে এখনও বিনিয়োগ করে চলেছেন, তাদের আমি সশ্রদ্ধ স্যালুট জানানাই। কারণ কেবল চলচ্চিত্রের প্রতি গভীর ভালোবাসা থেকেই এ কাজটি তারা করে চলেছেন। আর সে কারণে এ চলচ্চিত্রকে বাঁচাতে হলে কোন না কোন পথ আমাদের অবলম্বন করতেই হবে। তাই আমার এ প্রক্রিয়াটিও চলচ্চিত্রকে বাঁচাতে খানিকটা যুদ্ধের মত।

এম সাখাওয়াৎ হোসেন চলচ্চিত্রের প্রতি ভালোবাসা দেখাতে গিয়ে খানিকটা আবেগতাড়িত হয়ে বলেন, সরকার চলচ্চিত্রের প্রতি সুদৃষ্টি দিলে এখনও আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারি। কারণ ধীরে ধীরে মেধাবি ইয়ং ছেলেমেয়েরা চলচ্চিত্রের আঙ্গিনায় হাটা শুরু করেছে। জয়নগরের জমিদার এদেশে একটি ভালো চলচ্চিত্রের কাতারে দাঁড়িয়ে আমাদেও বাংলা চলচ্চিত্রকে সমৃদ্ধ করুক। পাশাপাশি এম সাখাওয়াৎ হোসেনের মত মেধাবি পরিচালকগণ এমন নিরীক্ষাধর্মী কাজ কওে এ শিল্পটিকে বাঁচিয়ে তুলুক এটাই আমাদেও প্রার্থনা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়