মাজহারুল ইসলাম : তিন প্রজাতির লাল টমেটো বিক্রিতে এবার অধিক মুনাফা পাচ্ছেন কুমিল্লার টমেটো চাষীরা। এবার অনুকূল আবহাওয়া টমেটোর বাম্পার ফলন কৃষকদের জন্য আশির্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে। উৎপাদিত টমেটো এখানকার প্রায় ১৫ লাখ পরিবারের চাহিদা মেটানোর পরও রাজধানী ঢাকাসহ নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামের বিশাল জনগোষ্ঠীর চাহিদা পূরণ করে থাকে। বাসস

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কুমিল্লায় টমেটোর ফলন গত ৫ বছরের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, এবারে টমেটোর বাম্পার হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে কুমিল্লার নিন্মাঞ্চলে উৎপাদিত টমেটো বাজারে সয়লাব হয়ে যাবে। বর্তমানে কুমিল্লা অঞ্চলের উঁচু জমিতে উৎপাদিত টমেটো রয়েছে বাজারে। কুমিল্লার চান্দিনা, বরুড়া, দাউদকান্দি, হোমনা, বুড়িচং, ও দেবিদ্বারে উৎপাদিত টমেটো স্থান পেয়ে থাকে দেশের  সবজি বাজারে।

অন্যদিকে কুমিল্লা সদরের পাঁচথুবি, আমড়াতলী, জগন্নাথপুর, দূর্গাপুর ইউনিয়নে এবং সদর দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে উৎপাদিত টমেটো কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ বাজার ও চকবাজারের সব্জি আড়তে স্থান পেয়ে থাকে। এখান থেকে নগরীর অন্যান্য বাজারের সব্জি ব্যবসায়িরা টমেটো পাইকারি দরে কিনে নিয়ে যান। কুমিল্লার হাট-বাজারগুলো এখন টমেটোতে ঠাসা। বর্তমানে বাজারে বড়, মাঝারি ও ছোট আকারের প্রতি কেজি টমেটো খুচরা ৩৫ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে টমেটোর বাজার দর ছিলো কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। এবার টমেটোর বিক্রি দরও তুলনামূলক বেশি হওয়ায় টমেটো চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে ।

এবছর কুমিল্লায় ১ হাজারের বেশি হেক্টর জমিতে টমেটো চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কুমিল্লার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের নজরদারি ও উপজেলা পর্যায়ে চাষীদেরকে কৃষি কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ, পরামর্শসহ সব ধরণের লজিষ্টিক সার্পোট  এবং আবহাওয়া সময় উপযোগী হওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রা  ছাড়িয়েছে। কুমিল্লা জেলায় বিভিন্ন উপজেলার চেয়ে চান্দিনায় সবচেয়ে বেশি টমেটো চাষ হয়ে থাকে। চান্দিনা উপজেলায় উঁচু ও নিচু জমিতে পৃথকভাবে দুইবার টমেটো চাষ হয়।

কুমিল্লার চান্দিনার টমেটো চাষীরা জানান, সব মৌসুমেই চান্দিনায় ব্যাপক পরিমান সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। টমেটোর চাষ এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এবছর টমেটোর ব্যাপক ফলন করেছে তারা। টমেটো পাকার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে নিয়ে আসতে হয়। কাঁচামাল ঘরে রাখা যায় না। তাই সংরক্ষণের জন্য সরকারিভাবে হিমাগারের ব্যবস্থা করা হলে চাষীরা তাদের সবজির ভালো দাম পাবেন।