রিফাত হাসান : একটি আন্দোলন কোন ক্লাসকে রিপ্রেজেন্ট করে, সেটি আন্দোলনের লেজিটিমেসি তৈরি বা লঙ্ঘন করে না। তার চাইতে গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনের চরিত্র। এই আন্দোলন কী চায়? ধর্ষকের বিচার? ধর্ষণের বিচার কি ধর্ষকের গ্রেপ্তার বা ফাঁসি দিয়ে শেষ হয়? কোনো একটা ঘটনার বিচার চাওয়ার মানে দুনিয়াতে একই ধরনের সব ঘটনার বিচার বা বিহিত চাওয়া।
সেই বিহিতের জন্য দাঁড়ানো, যা না হলে এই খুন বা ধর্ষণ আরও বহুবার ঘটবে। তারা কি সেই বিহিতের জন্য দাঁড়াতে প্রস্তুত? ক্ষমতার যে বিকার ধর্ষণ করে, মানুষের মানবিক মর্যাদা লঙ্ঘন করে, সেই ক্ষমতাকে প্রশ্ন করে এই আন্দোলন? তাহলে কেন এই আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক? যে মেয়েটি ধর্ষিত হলেন তিনি কেবল ঢাবির ব্যাপার বলে মনে করেন, নাকি রাষ্ট্রেরও ব্যাপার? কোথায় ধর্ষিত হয়েছেন এই ভিকটিম? বাংলাদেশে। হা হা, এমনকি ঢাবিতেও নয়।
ঢাকার এক প্রান্তে, কুর্মিটোলায়। মানে বৃহত্তর বাংলাদেশে। যেখানে আরও হাজারও ছাত্রী বা অছাত্রী ধর্ষিতা, গুম, খুন হন। তবুও ঢাবি কেবল ঢাবিতে কেন ছাত্রলীগের সঙ্গে সাংস্কৃতিক আন্দোলন করে? বাংলাদেশকে চিনতে পারে না? আপনার ঢোল-তবলা যদি ক্ষমতার লেজিটিমেসি প্রশ্নকে মীমাংসা না করে আবেগ তৈরি করে, সেই ঢোল-তবলা নিয়ে প্রশ্ন করতেই হবে। কালচারাল মুভমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তার পলিটিক্স নিয়ে আলাপ না করলে মুভমেন্ট কোথায় থাকে? ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :