আলী রীয়াজ, ফেসবুক থেকে : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে র্যাব আটক করেছে, এটাই হচ্ছে খবর। যাকে আটক করা হয়েছে তাকে এখনও ‘ধর্ষক’ বলার মতো অবস্থা হয় নাই। এখন পর্যন্ত এই ব্যক্তি ‘অভিযুক্ত’ মাত্র। এই আটক ব্যক্তিকে কী শাস্তি দেয়া দরকার তার যেসব বর্ণনা দেখছি তা গা শিউড়ে ওঠার মতো। আদালত কিছু করবে না, আইনের ফাঁক গলিয়ে বেড়িয়ে যাবে এই সব যুক্তি হাজির করে লাভ নেই, এই যুক্তিতে কাউকে অত্যাচার করার কথা বলার আগে তা হলে আইন-আদালত তুলে দেবার কথা বলুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের পোস্ট হচ্ছে কী করে এই ব্যক্তির গায়ে আগুন লাগিয়ে প্রকাশ্যে দেখানো দরকার; এই দেখে মনে হল প্রকাশ্যে টর্চার করার এই ধরণের প্রেসক্রিপশন দেয়ার মতো মানুষেরা যদি শিক্ষকতা করেন তবে শিক্ষার্থীরা কী হবেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই সাফল্যে অনেকেই তাঁদের প্রশংসা করছেন , যার দায়িত্ব যা তা পালনের জন্যে প্রশংসা, কৃতজ্ঞতা এখন প্রতিদিনের ব্যাপার। কিন্ত আসলেই বলুন তো, দেশে এই নিয়ে তোলপাড় না হলে এই ধরণের তৎপরতা হতো কিনা। অন্যদিকে অনেকেই একে জজ মিয়া নাটক বলে সংশয় প্রকাশ করেছেন। এই দুই প্রতিক্রিয়া বলে দেয় আস্থার ঘাটতি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে। এদিকে, এক সাংবাদিক জানাচ্ছেন যে ‘দুইদিনে অন্তত ৭০ জন লোক মেয়েটিকে দিন থেকে রাত, রাত থেকে দিন নানা প্রশ্নবানে জর্জরিত করেছে।’ কারা তাঁকে এই প্রশ্ন করেছেন? ভিক্টিমের প্রটেকশন কোথায়, কেন তাঁকে এতবার এই ভয়াবহ ঘটনা বর্ণনা দিতে হল? অপরাধীর শাস্তি চাইতে হবে, কিন্ত আইনের বাইরে গিয়ে নয়। আইনের বাইরে যে ‘শাস্তি’ তা অপরাধ থেকে ভিন্ন নয়। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :