সমীরণ রায়: ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি।নির্বাচনকে সামনে রেখে অঙ্গ, সহযোগি ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে থানা, ইউনিট ও ওয়ার্ডগুলোতে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এছাড়াও ভোটারদের কাছে মেয়র প্রার্থীসহ কাউন্সিলরদের কি অবস্থা তা জানতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকেও কাজে লাগাবে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ সহযোগি ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা সার্বক্ষণিক থাকবে। তাদের দায়িত্ব প্রতিটি থানা, ইউনিট ও ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করে এলাকা পাহাড়া দেয়া ও জনগণের কাছে ভোট প্রার্থণা করা। যাতে কোনোভাবেই বিএনপি মনোনীত প্রার্থীরা ভোট চাওয়ার সুযোগ না পায়। একই সঙ্গে বিএনপি জামায়াতের ৯২ দিনের হরতালে জানমালের যে ক্ষতির হয়েছে, তা ভোটারদের কাছে তুলে ধরার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে দলটির নেতাকর্মীদের। এছাড়া কাউন্সিলর পদে যারা দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন, তাদেরও নিজের পাশাপাশি মেয়রদের প্রচারণা চালানোর নির্দেশনা রয়েছে দল থেকে। পাশাপাশি উত্তর-দক্ষিণে নির্বাচনের আগে ১ হাজার ৪০০ কেন্দ্রে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা পাহাড়া দেয়ার বিষয়েও একটি সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।

এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ সিটি নির্বাচনকে আওয়ামী লীগ গুরুত্বসহকারে নিয়েছে। ৩০ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তার সমস্ত শক্তি নিয়োগ করে বিজয়ী হওয়ার চেষ্টা করবে। নির্বাচনের আগে প্রচারের শেষ দিন পর্যন্ত ১৭ দিনে সব ভোটারদের ঘরে ঘরে গিয়ে আমরা ভোট চাইবো।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, আগামী ৩০ জানুয়ারির ঢাকা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা যাতে বিজয় লাভ করে, তার জন্য দলসহ সহযোগি ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মী মাঠে থাকবে। কারণ বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। তারা যে গণতন্ত্রের কথা বলে, তা সামরিক গণতন্ত্র। তাদেরকে ছোট করে দেখার কিছু নেই। সেকারণেই আওয়ামী লীগ তার সব শক্তি দিয়ে দুই সিটিতেই বিজয় নিশ্চিত করবে।