শিমুল মাহমুদঃ আসন্ন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ইশরাক হোসেনে সমর্থন জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।
বুধবার বেলা ১১টায় মতিঝিলে ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক শেষে দুই মেয়র প্রার্থীকে সমর্থন দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়।
গণফোরামের সভাপতি ডঃ কামাল হোসেন বলেন, আমরা দেখেছি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে নষ্ট করে কিভাবে ঘোষণা হয়ে যায় এক একটা রায়। আমাদের ধারণা এবারও একই ধরনের নাটক করার জন্য সরকারের দিক থেকে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের কথা হচ্ছে জনগণের কাছে যাওয়া, জনগণকে জানানো যে এদেশের মালিক তারা। তাদেরকে জোরালোভাবে সামনে আসতে হবে।
সংবিধান প্রনেতা বলেন, গণতন্ত্রকে পুরোপুরিভাবে, বাস্তবে জাগানোর জন্য জনগণের আন্দোলন আরো জোরদার করা হবে। এর মধ্যে দিয়ে জনগণ অবশ্যই দেশের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করবে। প্রকৃত অর্থে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। যদিও এই সরকারের যেসব কার্যকলাপের মধ্যে দিয়ে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে এবং সেই প্রস্তুতি তারা আবারো নিচ্ছে।
তিনি বলেন, জনগণের কাছে আমার আবেদন, নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য। দেশকে বাঁচানোর জন্য সবাই এগিয়ে আসবে। ভোটের মাধ্যমে দেখানো যে, জনগণ যেটা চাচ্ছে সেই নির্বাচন আমরা করাতে পারি। আর সরকার যদি একবারে নির্লজ্জভাবে সেই নির্বাচন ধ্বংস করে তাহলে আমাদের আন্দোলনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, নির্বাচন গুলো তারা করে নাটকের মত। ফলাফল আগেই রেডি থাকে এরপর তারা নাটকের মধ্য দিয়ে এটাকে জায়েজ করে। এই নির্বাচনে আমাদের বিজয় নিশ্চিত। কেড়ে নেওয়া ছাড়া এই নির্বাচনে তারা জিততে পারবেনা। আর আমরা নির্বাচনের নামছি এবার তাদের কেড়ে নিতে দেবোনা। জনগনের রায়ে সঠিকভাবে যেন প্রতিফলিত হয় সেরকম করে আমরা ব্যাপক জনগণকে সঙ্গবদ্ধ করব।
ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ভোট দেবেন এবং ভোট রক্ষা করবেন। ভোট যদি কেউ কেড়ে নেয়ার ষড়যন্ত্র করে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবো।
তিনি বলেন, ইভিএম নিয়ে বিএনপির প্রার্থী এবং বিএনপির পক্ষ থেকে যথাযথ যুক্তিকতা দেখিয়েছে এটার মধ্যে ছলচাতুরি করা যায়। অথচ নির্বাচন কমিশন বিষয়গুলো বিবেচনায় না নিয়ে টিউটর কথাবার্তার মত বলে দিয়েছেন, এটার সবকিছু ঠিক আছে। এই নির্লজ্জ ঘটনা মধ্য দিয়ে ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে আমি তাদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করতে চাই।কথায় আছে," বারে বারে ঘুঘু তুমি খেয়ে যাও ধান" এ রকম হবে। এই নির্বাচন আমরা আক্ষরিক অর্থ শুধু নয় সর্বাংশে নির্বাচনের মত কতে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার করতে চাই। এজন্য আমরা ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে এই দুইজন প্রার্থীকেই সমর্থন করছি। এবং তাদের কাজের মধ্যে প্রচারণায়, আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের নেতারা এতে অংশগ্রহণ করবেন।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ঠিকমতো ভোট করেন তা যদি না হয়, ২০১৯ সালে কারচুপি করে পার পেয়েছেন, এ বার পার পাবেন না। আমরা এরকম করেই জনগণকে সঙ্ঘবদ্ধ করতে যাচ্ছি। যাতে সরকার পার পেতে না পারে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা অধ্যাপক আবু সাইয়িদ চৌধুরী, সুব্রত চৌধুরী, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডি কার্যকরি সভাপতি সা কথা ম আনিছুর রহমান খান,এডভোকেট মহসীন রশীদ, মোস্তাক আহমেদ গনফোরাম,জিএসডি সিরাজ, শফিউদ্দিন স্বপন, শহীদ উল্লা কায়সার, মমিনুল হক ডাঃ জাহিদ, শাহ আহমেদ বাদল, দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।
আপনার মতামত লিখুন :