কামরুল হাসান মামুন : এই শহরটা জানোয়ারে ভরা : কলকাতায় বিশাল বড় সংখ্যায় মানুষ আছে, যারা কী বিজ্ঞানে, কী সাহিত্যে, কী সংগীতে আন্তর্জাতিক মানের। এই বিশ্ববরেণ্য মানুষগুলোই কলকাতাকে ঢাকা থেকে আলাদা করেছে। তারা সহমতবাদী নয় বরং প্রচ- প্রতিবাদী। ঢাকায় একসময় এই ধরনের বরেণ্য মানুষ গজিয়ে উঠছিলো। বাংলাদেশের জন্মের ঠিক আগ মুহূর্তেই তাদের সমূলে উৎপাটনের চেষ্টা হয় এবং অনেকাংশে সফলও হয়েছিলো। স্বাধীনতার পরও কিছু মানুষ গড়ে উঠছিলো। তারপর হঠাৎ ছন্দপতন। বর্তমান ঢাকায় আন্তর্জাতিক মানের বড় মনের প্রতিবাদী সত্যবাদী মানুষের প্রায় নেই বললেই চলে। এই না থাকাটাই বাংলাদেশের মূল ক্রাইসিস। আমাদের শাসকগোষ্ঠী ও চায় না তাদের সৃষ্টি হোক। তাই নানা রকম টোপ দিয়ে তাদের অঙ্কুরেই বিনষ্ট করে দেয়া হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে যেন ওই রকম মানুষ জন্মাতেই না পারে।
সরকার যা বলবে এবং যা করবে তাকে সহমত পোষণ করলে চকলেট দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। এই কলকাতায় কিছু ইনস্টিটিউট আছে যেখানে পদার্থবিজ্ঞানের প্রায় সব শাখায় ওয়ার্ল্ডক্লাস জায়ান্ট আছে। এবার ংঃধঃঢ়যুং-শড়ষশধঃধ কনফারেন্সে গিয়ে এক রাতে রেস্টুরেন্টে খেয়ে হোটেলে ফিরতে অনেক রাত হয়ে যায়। সেই রাতে দেখি দলে দলে ছেলেমেয়েরা সেজেগুজে স্কার্ট পরে হেঁটে যাচ্ছে। কলকাতার এক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম এতো রাতে কোথায় যাচ্ছে? বললো নৈশ ক্লাবে। শুনে অবাক হলাম এই ভেবে কই কখনো তো কোনো অঘটনের সংবাদ পাইনি। এ রকম একটি নিরাপদ শহর তখনই সৃষ্টি হয় যখন ওই শহরে কিছু মানুষ থাকে যারা পশুদের পশুত্ব দমন করিয়ে রাখতে সক্ষম হয়। আর আমার ঢাকায় খোদ সন্ধ্যাবেলায়, খোদ ক্যান্টনমেন্টের পাশে, খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ধর্ষিত হয়। মেয়েটির সঙ্গে যারা কথা বলেছে তাদের কাছে কিছু বিষয় খটকা লাগছে। মেয়েটির বর্ণনা মতে, ধর্ষককে খুব স্কিল্ড মনে হয়েছে। এমনভাবে বারবার গলা টিপেছে যেন অজ্ঞান হয়ে যায়, কিন্তু মরে না যায়। এটা কী সাধারণ কারও পক্ষে সম্ভব? এবার জায়গাটির কথা ভাবুন। ওখানে তো স্কিলড মানুষের অভাব নেই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :