মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে : বর্তমানে কানাডায় বসবাসরত বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, ‘আমি স্তম্ভিত যেভাবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আমার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গঠন, দাখিল ও গ্রেফতারি পরোয়ানা হাসিল করেছে। কারণ, যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে কোর্টে দাখিল করা হয়েছে, তা দেশের প্রচলিত কোনো আইনে অপরাধের আওতায় পড়ে না। এই পদক্ষেপে এটাই প্রমাণিত হলো যে, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে অসদাচারণ বা অক্ষমতার কারণে উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণ জাতীয় সংসদ সদস্যদের হাতে ন্যস্ত হলে স্বাধীন বিচার ব্যবস্থার পরিপন্থী হতো। স্বাভাবিকভাবে তাতে সরকারের অভিপ্রায়ের অন্তরায় হওয়ায় আমাকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে।’ এ বিষয়টি তার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর এই প্রতিনিধির কাছে পুর্নব্যক্ত করেন।
বিচারপতি সিনহা বলেন, ‘উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরে আমার একটি ৬ তলা বাড়ি ছিলো, যা রাজউকের পূর্বানুমতি সাপেক্ষে ৬ কোটি টাকায় বিক্রি করেছি। এক্ষেত্রে বাড়ি বিক্রির চুক্তি মোতাবেক দালান নির্মাণের ঋণ ২ কোটি টাকা পরিশোধ ব্যতিরেকে পে-অর্ডারে প্রাপ্ত ৪ কোটি টাকা সরাসরি নিজের সোনালী ব্যাংক সুপ্রিম কোর্ট শাখার অ্যাকাউন্টে জমা দেই। সেখান থেকে উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরে নিজের ও বড় মেয়ের জন্য দুটি অ্যাপার্টমেন্ট ক্রয় এবং অবশিষ্ট অর্থের কিছু গ্রামের বাড়ির উন্নয়নে ও বাকিটা ছোট মেয়ের নামে দেশেই ফিক্সড ডিপোজিট করেছি। এই সকল লেনদেন আমার আয়করের দাখিলকৃত রিটার্নে জানিয়েছি। তা হলে অর্থ আত্মসাত বা পাচার হলো কী করে? এটা কী আমার দেখার বিষয়, বাড়ির ক্রেতারা ফারমার্স ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করেছিলো কিনা, অথবা বাড়ি ক্রেতার অর্থের উৎস অনুসন্ধান দেশের প্রচলিত আইনে রয়েছে? উপরন্তু জেনেছি, ইতিমধ্যে বাড়ির ক্রেতারা ব্যাংক থেকে তাদের বন্ধকী ঋণের ৫ কোটি টাকা পরিশোধ করেছেন এবং ক্রয়কৃত সম্পত্তির ভোগদখলে যথারীতি রয়েছেন।’
আপনার মতামত লিখুন :