শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনা, সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ◈ সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনার মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে: মির্জা ফখরুল ◈ বাংলাদেশের রাজনীতির অবনতি দুঃখজনক: পিটার হাস ◈ সয়াবিন তেলের দাম লিটারে বাড়লো ১০ টাকা  ◈ নির্বাচনি ইশতেহারের আলোকে প্রণীত কর্মপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়নের আহবান শিল্পমন্ত্রীর  ◈ প্রচণ্ড গরম থেকেই ঘটতে পারে মানবদেহের নানা রকম স্বাস্থ্য ঝুঁকি ◈ অবশেষে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি  ◈ ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে ইরান: উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ মিয়ানমারের আরও ১৫ সেনা সদস্য বিজিবির আশ্রয়ে ◈ সয়াবিনের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৮ জানুয়ারী, ২০২০, ০৪:৩৭ সকাল
আপডেট : ০৮ জানুয়ারী, ২০২০, ০৪:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢাবির ছাত্রী হলে শিক্ষিকাকে চুল ধরে টেনে ফেলে ‘মারধর’

অনালাইন রিপোর্ট: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ছাত্রীদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি থামাতে গিয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দ্বারা শারীরিক লাঞ্চনার শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন হলের সহকারী আবাসিক শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক জোবায়দা নাসরিন।

এ ঘটনায় তিনি গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, শিক্ষক সমিতির সভাপতি/সাধারণ সম্পাদকসহ হলের প্রাধ্যক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

ভিসি বরাবর অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, ‘গত ৫ জানুয়ারি আমি হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জাকিয়া পারভীন ম্যাডামের নির্দেশে হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের অভ্যন্তরীণ মারামারি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য হলে আসি। সেখানে এক ছাত্রীকে মারধর করে তার কক্ষ থেকে বের করার সময় ছাত্রীটিকে সেখান থেকে সরিয়ে নিতে জড়িয়ে ধরি। একপর্যায়ে হলের গেটে নিয়ে আসার চেষ্টা করলে হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ কর্মীরা আমাকে শারীরিক আক্রমণ করে। আমার চুল ধরে টেনে ফেলে দিয়ে মারধর করে এবং গালাগালি করে।’

অভিযোগের সত্যতা জানতে চাইলে শিক্ষক জোবায়দা নাসরিন বলেন, ‘গতকাল সোমবার যে বিষয়টা হয়েছে, আপনারা ইতোমধ্যে জেনেছেন যে এটা ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ মারামারি। হলের হাউজ টিউটর হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হলো কেউ আক্রান্ত হলে তাকে সেভ করা। কে কোন দল করে, সেটা আমাদের দেখার বিষয় নয়। কিন্তু সেখানে একজন শিক্ষক হিসেবে ছাত্রীরা আমার গায়ে হাত তুলেছে।’

এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে তিনি বলেন, ‘তাদের মারধরের কারণে আমার ঘাড় ফুলে গেছে এবং আমার পায়ে প্রচণ্ড ব্যথা। আমি এখন চিকিৎসাধীন আছি। আমি সেটা প্রশাসনের কাছে বিচার দিয়েছি। আমি এই ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার ও নিরাপত্তা চাই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রওনক জাহান রাইয়ান বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উনার গায়ে হাত দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। উনি তো আমাদের শিক্ষক। উনি ওখানে ছিলেন, সেখানে ধস্তাধস্তির মধ্যে কিছু হলে হতে পারে। তবে তাকে টার্গেট করে মারা হয়েছে, এটা সম্পূর্ণ একটা ভিত্তিহীন কথা এবং এর প্রমাণ তিনি দিতে পারবেন না।’

রওনক বলেন, ‘ঘটনার সময় সেখানে হলের প্রাধ্যক্ষ, অন্যান্য হাউজ টিউটররাসহ শিক্ষার্থীরা সবাই উপস্থিত ছিলেন। সবাই দেখেছে বিষয়টা কী হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। আমাদের সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। সেখান থেকে তদন্ত করে বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান করা যাবে। আমাদের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটির প্রতি সর্বাত্মক সহায়তা থাকবে।’

তবে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে কাদেরকে রাখা হয়েছে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি রওনক।

গত রোরবার ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শাড়ি বিতরণকে কেন্দ্র করে হলের অভ্যন্তরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে তিনজন ছাত্রী আহত হয়েছে। ছাত্রীদের মধ্যে চলমান ঝগড়া থামাতে গিয়ে তাদের হাতেই লাঞ্চনার শিকার হয়েছেন নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক জোবাইদা নাসরিন।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অন্যদিকে রোববার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সালসাবিল রাবেয়া নামক ছাত্রলীগের এক নেত্রীকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

সূত্র: আমাদের সময়

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়