অনলাইন ডেস্ক: দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (জেএনইউ) শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উপর হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘হিন্দু রক্ষা দল’ নামে একটি সংগঠন। পিঙ্কি চৌধুরী নামে এক ব্যক্তি নিজেকে ওই সংগঠনের নেতা দাবি করে মঙ্গলবার হামলার ‘সম্পূর্ণ দায়’ নিজ সংগঠনের কাঁধে তুলে নেন। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন, বিজেপি-এবিভিপির অস্বস্তি কাটাতেই ওই সংগঠন হামলার দায় নিয়েছে। ইত্তেফাক
মঙ্গলবার হিন্দু রক্ষা দলের পক্ষ থেকে পিঙ্কি চৌধুরীর একটি ভিডিও টুইটারে শেয়ার করা হয়েছে। যদিও হিন্দু রক্ষা দলের টুইটার হ্যান্ডলে ওই ভিডিও পোস্ট হয়নি। শিবাঙ্গী ঠাকুর নামে এক ব্যক্তি ওই ভিডিওটি শেয়ার করেছেন। ওই ভিডিওতে পিঙ্কি চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশ বিরোধী কার্যকলাপের আখড়া হয়ে উঠেছে জেএনইউ। এটা আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা এই হামলার সম্পূর্ণ দায় নিচ্ছি এবং বলতে চাই যে, হামলাকারীরা আমাদের সংগঠনের সদস্য ছিলেন।’
এর আগে রবিবার রাতে জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুখে কাপড় বাঁধা এক দল যুবক ঢুকে তাণ্ডব চালায়। সবরমতি ছাত্রাবাসে ঢুকে লোহার রড, বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধর করে শিক্ষার্থীদের। তাছাড়া শিক্ষকদের উপরও হামলা চালায় তারা। এতে আহত হন অন্তত ৩৪ জন।
এরপর থেকেই ভোররাত পর্যন্ত দিল্লি পুলিশের সদর দফতরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। শুরু থেকেই ওই হামলায় আহতরা এই ঘটনার জন্য বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-কে দায়ী করেন।
সোমবার ‘ইউনিটি এগেইন্সট লেফট’, ‘ফ্রেন্ডস অব আরএসএস’ ইত্যাদি নামধারী হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে হামলার প্রস্তুতির নানা প্রমাণ মিলে, সেগুলো ভারতের সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়। এসব প্রমাণ উল্লেখ করে ভারতের অনেক গণমাধ্যমই আক্রমণকারীদের বিজেপি সমর্থক বলে চিহ্নিত করে। ফলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে মোদির দল বিজেপি।
এদিকে পুলিশ এই ঘটনায় কয়েক জনকে চিহ্নিত করার দাবি করলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার না করায় ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে পড়েছে। এ অবস্থার মধ্যে হিন্দু রক্ষা দল হামলার দায় স্বীকার করায় ঘটনার নতুন মোড় নিলো। পুলিশ জানিয়েছে, ‘হিন্দু রক্ষা দল’-এর দাবি কতটা যুক্তিযুক্ত, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :