রাশিদ রিয়াজ : আর্থিক বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকস বলছে তেলের মুল্য ব্যারেল প্রতি ৬৩ থেকে ৭০ ডলার ছাড়াতে যত সময় নিয়েছে তারচেয়ে বরং কম সময়ে স্বর্ণের দাম অধিক বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই রাশিয়া, চীন সহ বেশ কিছু দেশ স্বর্ণ মজুদ বৃদ্ধি করছে। ডলারের বিকল্প অর্থনৈতিক লেনদেনের চেষ্টা হিসেবে ব্রাটার ট্রেড বা পণ্য বিনিময় ভিত্তিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় এখন কয়েকটি বড় অর্থনীতির দেশও রাজি।
এসব উপলন্ধি করেই গোল্ডম্যান স্যাকস’এর গ্লোবাল হেড অব কমোডেটিস রিসার্চ জেফরি কুরি ও তার বিশ্লেষক দল বলছে ইরান সংকট আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে যে হুমকি সৃষ্টি করেছে তার পরিধি অনেক বড়। তেলের মূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধ বেঁধে গেলে তেল ক্ষেত্র ধংস হলে পরিস্থিতিকে স্বাভাবিকভাবে সামাল দেয়া সম্ভব হবে না। এসব বিবেচনায় স্বর্ণ মজুদ থাকবে নিরাপদ। এবং দামও তেলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ইতিমধ্যে গত ৭ বছরে সর্বোচ্চ দরে উঠেছে। গত মাসে সোনার দর বেড়েছে আউন্সে ১শ ডলার।
আগামী তিন মাসে স্বর্ণের দাম আউন্সে ১৬শ ডলার ছাড়িয়ে যাবে তা গোল্ডম্যান আগেই বলেছিল। ভূকৌশলগত সংকটে এ দাম আরো বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। মুদ্রা মানের হ্রাস হলেও স্বর্ণের ক্ষেত্রে তা খুব একটা বিবেচনা নয়। কারণ ২০১১ সালেও উপসাগরীয় যুদ্ধে স্বর্ণের দাম বেড়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :