লাইজুল ইসলাম : দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজম্যান্ট বিভাগের বিবিএ ২৬তম ব্যাচের স্বাগত অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী মাহবুব আলী এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী উন্নয়ন কাজে পরিচালিত হবে। আরো কিছু পরিকল্পনা রয়েছে যা বাস্তাবায়ন হলে দেশের অন্যতম বৃহতশীল্পে পরিণত হবে পর্যটন।
মন্ত্রী বলেন, এর মধ্য দিয়ে একই সঙ্গে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা যাবে, তেমনি পর্যটন ক্ষাত দেশের অন্যতম বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী ক্ষাতে পরিণত হবে। বাংলাদেশের বিপুল পরিমান সম্ভাবনার ক্ষাত পর্যটনকে কাজে লাগাতে সরকার বদ্ধ পরিকর। এই উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের মানুষের অন্যতম আয়ের খাতে পরিনত হবে পর্যটন।
মন্ত্রী বলেন, ওয়ার্ল্ড ট্রেড এন্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের ২০১৮ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে দেশের জাতীয় আয়ে পর্যটন শিল্পের অবদান ছিলো ৪শ ২৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন টাকা। যা জিডিপির ২দশমিক ২ শতাংশ। মোট আয় ছিলো ৮শ ৫০ দশমিক ৭ বিলিয়ন টাকা। যা জিডিপির ৪ দশমিক তিন শতাংশ। এতেই বোঝা যায় গার্মেন্টস শীল্পেরমত দেশের মানুষের আরেকটি আয়ের উৎস হতে যাচ্ছে পর্যটন শীল্প। পর্যটন খাত বিশ্বে একটি দ্রুত বিকাশমান খাতে হিসেবে পরিচিত হয়েছে।
মাহবুব আলী বলেন, পৃথীবির প্রতি ১১ জন মানুষের একজন পর্যটনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত। বেকারত্ব দূরীকরণে ট্যুরিজম একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। ওয়ার্ল্ড ট্রেড এন্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের ২০১৮ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পর্যটন খাতে বিনিয়োগ হয়েছে ৮৩ বিলিয়ন টাকা। ২০২৮ সালে এই বিনিয়োগের পরিমান গিয়ে দাঁড়াবে ১৬১দশমিক ৮ বিলিয়ন টাকা। ২০১৮ সালে সারা পৃথীবিতে প্রায় ৩শ ২৮ মিলিয়ন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। যা সারা পৃথীবির মোট কর্মসংস্থানের ১০ ভাগ। মন্ত্রী বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিক থেকে এ খাতের অবস্থান বিশ্বের প্রথম পাঁচটি খাতের একটি।
আপনার মতামত লিখুন :