শাহীন খন্দকার : আধুনিক জীবনযাপনের ভুল প্রয়োগ, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, খাওয়া-দাওয়া ও পানি খাওয়ার অনিয়মের কারণে কিডনির ওপর প্রভাব পড়ে। সাধারণত কিডনির সমস্যা হচ্ছে কি না তা বুঝতে শরীরের চাহিদা অনুযায়ী পানি খাওয়ার পরিমাণ ঠিক আছে কি না, কোমর বা তলপেটে কোনো ব্যথা হচ্ছে কি না, মূত্রের সময় কোনো জ্বালা বা সমস্যা হচ্ছে কি না এই লক্ষণগুলোই জানিয়ে দিতে পারে। আনন্দবাজার
তবে কিডনিতে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না বা অজান্তেই পাথর জমছে কি না তা টের পেতে এসব লক্ষণই যথেষ্ট নয়। ভারতের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অভিজিৎ তরফদার মনে করেন, কিডনিতে পাথর কোথায় রয়েছে, কতগুলো রয়েছে এ সবের ওপরেও এই অসুখের লক্ষণ নির্ভর করে। তার মতে, যদি খুব ছোটো আকারের অল্প কয়েকটা পাথর থাকে, তা হলে কোনো লক্ষণ নাও বোঝা যেতে পারে।
তবে সংখ্যায় বেশি হলে বা আকারে বড়ো হলে অবশ্যই স্পষ্ট কিছু উপসর্গ থাকে। কেবলমাত্র সাধারণ কয়েকটি লক্ষণের বাইরেও কিছু উপসর্গ থাকে। লক্ষণ জানা থাকলে এই অসুখ নিয়ে আগাম সচেতন হওয়া যায়, এতে শারীরিক কষ্টও কিছুটা লাঘব করা সম্ভব হয়। আবার দ্রুত চিকিত্সা শুরু হওয়ায় অস্ত্রোপচার এড়ানো যায় অনেক সময়। লালচে বা বাদামি প্রসাব পাথর জমলেও হয়।
অনেকের ক্ষেত্রেই সমস্যা প্রকাশ পায় কোমরের ব্যথা দিয়ে। যদিও নানা কারণেই কোমর ও তলপেটে ব্যথা হতে পারে। তবে মূত্রে জ্বালা, রঙের বদল এ সবের সঙ্গে কোমর ও তলপেটে ব্যথা থাকলে সচেতন হতে হবে।প্রয়োজনে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। কিডনির সমস্যার কারণে ঘুসঘুসে জ্বর ঘুরেফিরে আসে অনেক সময়। সঙ্গে বমি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে। লক্ষণ দেখা দেওয়ার আগেই কিডনির যত্ন নিতে হবে। তিন মাস অন্তর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা করতে হবে। শরীরের প্রয়োজন ও চাহিদা অনুযায়ী নিয়ম করে পানি পান করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :