নিউজ ডেস্ক: টানা তৃতীয় মেয়াদে সরকার গঠনের প্রথম বছরে ক্ষমতাসীন দলের বড় অর্জন ছিল স্থিতিশীলতা। বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতিতে মধ্যম আয়ের পথে আরো এগিয়েছে দেশ। তবে শেয়ারবাজারের অস্থিরতা শঙ্কার ছাপ ফেলেছে। সময় টিভি
শিক্ষার সার্বিক উন্নতি হলেও বছরজুড়েই অস্থির ছিলো বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গন। দুর্নীতির বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযান ও নুসরাত হত্যা মামলার দ্রুত রায়কে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসে উপমহাদেশের প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগ। ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি নতুন পুরাতন মিলিয়ে ৪৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করে দলটি।
নতুন মন্ত্রসিভার ৩১ জনই ছিলেন তরুণ ও প্রথমবারের মতো মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী উপমন্ত্রীর পদ পাওয়া। চমকপ্রদ মন্ত্রীসভার কারণে জনগণের প্রত্যাশাও ছিলো বেশি।
২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ তাদের ইশতেহারে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম ও ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে আতœপ্রকাশের লক্ষ্য ঠিক করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ বছরে বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সরকার। ফলে মাথাপিছু আয় ও প্রবৃদ্ধি বেড়েছে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। বিশেষ করে গত একবছরে পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেলসহ মেগা প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দেখছি বিদেশ থেকে বৈদেশিক রেমিটেন্স আসার দিকটা খুবই ইতিবাচক।
তবে সুখবর দিতে পারেনি শেয়ার বাজারে। অর্থনীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন দুর্বৃত্তদের হাতে থাকার কারণেই উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ।
তিনি বলেন, যতদিন শেখ হাসিনাকে সামনে রেখে দুর্বৃত্তরা নীতি প্রণয়ন করবে ততদিন উন্নতি হবে না।সার্বিকভাবে গেল বছর ছিলো সরকারের জন্য স্থিতিশীল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
শিক্ষাবিদ আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, সারাদেশে নারীরা অনেক এগিয়ে এসেছে। বিগত এক বছরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে অচলাবস্থা দেখেছি সেদিকটায় সরকারের বিশেষভাবে নজর দেওয়ার দরকার আছে।এছাড়া সরকারের দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযানকে চলমান রাখার তাগিদ দেন তারা। অনুলিপি : রাকিবুল
আপনার মতামত লিখুন :