সাদিয়া নাসরিন : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হওয়াতে ক্যাম্পাসজুড়ে খুব জোর প্রতিবাদ চলছে। বিশেষ করে ঢাবি ছাত্রলীগ কঠোর সব কর্মসূচি ঘোষণা করছে। আওয়ামী লীগ পন্থী লোকজন, যারা ঢাবির প্রাক্তন শিক্ষার্থী তারা বেশ উচ্চস্বরে ধর্ষকের ফাঁসি-টাঁসি চাইছেন। আমার খুব ভালো লাগছে এইসব জনপ্রতিরোধ, গণপ্রতিবাদ দেখতে।
একটু রিল্যাক্সও লাগছে যে, যাক বহুদিন তো আমরা গুটি কয়েকজন চ্যাঁচালাম, এবার সবাই মিলে চ্যাঁচাক, তাতেও যদি কোথাও গিয়ে এইসব কণ্ঠ পৌঁছায় আরকি! আবার এও মনে পড়ছে, যে রাজু ভাস্কর্যের নীচে একদা এই ঢাবি শিক্ষার্থীদের চোখের সামনে আমরা কয়েকজন হাতে হাত ধরে ধর্ষণ বিরোধী সমাবেশ করতাম, ঢাবির একজন শিক্ষার্থীও কোনদিন আমাদের পাশে এসে দাঁড়ায়নি, বরং ‘নারীবাদী সমাবেশ’ বলে টিটকারি করেছে, সেই রাজু ভাস্কর্য আজ বেশ উত্তাল ঢাবি ছাত্রলীগের প্রতিবাদ সমাবেশে। ‘বেটার লেইট দেন নেভার’।
আমার পূর্ণ সলিডারিটি থাকলো ঢাবি শিক্ষার্থীদের সব ধরনের প্রতিবাদ কর্মসূচির সঙ্গে। সঙ্গে এই পরামর্শও থাকলো যে, এরপর থেকে সারাদেশের সব মেয়েদের প্রতি ঘটা সব ধরনের যৌন সহিংসতার প্রতিবাদে যেনো তারা এভাবে সোচ্চার থাকে। বাংলাদেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসেই ছাত্রলীগ ধর্ষণের বিরুদ্ধে এভাবে যেন প্রতিরোধ গড়ে তোলে। ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী পন্থী বুদ্ধিজীবীরা যেন মনে রাখেন, ‘আমার ক্যাম্পাসের মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে, বিচার চাই’ এই কথাটি খুবই বৈষম্যমূলক একটি কথা। আপনি যদি ধর্ষণের বিচার চান সব মেয়ের জন্যই চান। ধর্ষণের বিরুদ্ধে সব ধরনের গণপ্রতিরোধে সঙ্গে থাকুন। তা না হলে আপনার ‘ক্যাম্পাসের মেয়ে’ বলে কেউ রেহাই পাবে না। কারণ কোনো ধর্ষক বেছে বেছে নমুনাচয়ন করে ধর্ষণ করে না, র্যান্ডমলি করে। বুঝলেন তো ব্যাপারটা? জানেন নিশ্চয়ই, নগরে আগুন লাগলে দেবালয়ও বাঁচে না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :