শিরোনাম
◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ০৮ জানুয়ারী, ২০২০, ০১:৩০ রাত
আপডেট : ০৮ জানুয়ারী, ২০২০, ০১:৩০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পুরুষদের জন্য সান্ধ্য আইন জারি করা হোক…

আফরোজা সোমা, ফেসবুক থেকে : সব মশা ক্ষতিকারক নয়। এডিস মশা ক্ষতির কারণ। কিন্তু কোনটা এডিস আর কোনটা স্বাভাবিক সেটা তো বোঝা মুস্কিল। তাই, ওষুধ ছিটানোর সময় সব মশাকেই নিধন করা হয়।

নিরপরাধ সাধারণ মানুষেরা ঘরে-বাইরে থাকে। আইন ভঙ্গ না করে সামাজিক চুক্তি মোতাবেক স্বাধীনভাবে জীবন কাটায়। কিন্তু অপরাধীরা থাকে জেলে। বন্দী। মানে সাধারণের সমাজ থেকে দূরে।

যেহেতু পুরুষেরাই ধর্ষক। যেহেতু তাদের মধ্যেই আছে এডিস এবং নিরিহী, ভদ্র ও গোবেচারা মশক কিন্তু যেহেতু নিরীহ ও ক্ষতিকারকদেদর আলাদা করা দুরুহ, ফলে সকল পুরুষের জন্য সান্ধ্য আইন জারী করা হোক। কোনো পুরুষ সন্ধ্যে ৬টার পর বাইরে ঘোরা-ফেরা করতে পারবে না। বাজার-ঘাট করা, সিনেমা-নাটক দেখা, কোনো নারীর উপস্থিতি ব্যতিরেকে একা কোথাও যাবার অনুমতি পাবে না।

যদি ১৬ বছর বয়সের উর্ধে কোনো ছেলে, যুবা ও প্রৌঢ়কে একা জনপরিসরে দেখা যায় তাহলে তাকে পুলিশ এবং/অথবা যে কোনো প্রাপ্ত বয়স্ক নারী সেই পুরুষের বাইরে থাকার কারণ জানতে চাইতে পারবে এবং সেই পুরুষ যদি তার বর্ণিত কারণের পক্ষে যথার্থ যুক্তি ও উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে না পারে তাহলে তাকে হয় পুলিশ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেবে অথবা প্রয়োজন হলে নিজেদের জিম্মায় নেবে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে যারা কাজ করবে শুধু সেখানে লৈঙ্গিক বিভাজন করা হবে না। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে তারা হবেন আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য। তাই, সান্ধ্য আইন তাদের জন্য কার্যকর হবে না।

এছাড়া জাতী-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে বাংলাদেশে ১৬ বছর থেকে তদোর্ধ সকল পুরুষের জন্য সান্ধ্য আইন জারী করা হোক।

তাহলেই নারীরা নিরাপদ।

নারীরা ভূতের চেয়ে পুরুষকে বেশি ভয় পায়। কারণ ভূত রেপ করতে পারে না।

নারীরা আজরাইলের চেয়ে পুরুষকে বেশি ভয় পায়। কারণ আজরাইল রেপ করতে পারে না।

নারীরা ড্রাগ্রনের চেয়ে পুরুষকে বেশি ভয় পায়। কারণ ড্রাগন রেপ করতে পারে না।

নারীরা পাগলা কুকুরের চেয়ে মস্তিষ্কে নুনু নিয়ে ঘোরা পুরুষদের বেশি ভয় পায়। কারণ পাগলা কুকুর তাড়া করে বড় জোর কামড়ে মাংস তুলে নেয় কিন্তু রেপ করতে পারে না।

নারীর জন্য নিরাপদ রাষ্ট্র গড়তে হলে নারীর চলাচল সবর্ত্র নির্বিঘ্ন ও নির্ভয় করতে হবে। আর পুরুষদেরকে প্রশিক্ষণে দিয়ে-দিয়ে তাদের মাথা থেকে নুনানুভূতি না নামা পর্যন্ত সান্ধ্য আইন ও প্রশিক্ষনের ভেতর দিয়ে যেতে হবে।

কী? এইসব দাবী খুব আউলা-মাথার অযৌক্তিক প্রলাপ মনে হচ্ছে? কিন্তু এই আউলা মাথার অযৌক্তি বাস্তবতাই তো নারীর জন্য পরোক্ষে বিরাজ করছে সোনার দেশে। এই বাস্তবতাকে কি 'ক্রেজি' মনে হয় না?

সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়