শিরোনাম
◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ০৬ জানুয়ারী, ২০২০, ০৫:৩৭ সকাল
আপডেট : ০৬ জানুয়ারী, ২০২০, ০৫:৩৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পুরুষদের জন্য সান্ধ্য আইন জারি করা হোক, বললেন আফরোজা সোমা

ফেসবুক থেকে : সব মশা ক্ষতিকারক নয়। এডিস মশা ক্ষতির কারণ। কিন্তু কোনটা এডিস আর কোনটা স্বাভাবিক সেটা তো বোঝা মুস্কিল। তাই, ওষুধ ছিটানোর সময় সব মশাকেই নিধন করা হয়।

নিরপরাধ সাধারণ মানুষেরা ঘরে-বাইরে থাকে। আইন ভঙ্গ না করে সামাজিক চুক্তি মোতাবেক স্বাধীনভাবে জীবন কাটায়। কিন্তু অপরাধীরা থাকে জেলে। বন্দী। মানে সাধারণের সমাজ থেকে দূরে।

যেহেতু পুরুষেরাই ধর্ষক। যেহেতু তাদের মধ্যেই আছে এডিস এবং নিরিহী, ভদ্র ও গোবেচারা মশক কিন্তু যেহেতু নিরীহ ও ক্ষতিকারকদের আলাদা করা দুরুহ, ফলে সকল পুরুষের জন্য সান্ধ্য আইন জারি করা হোক। কোন পুরুষ সন্ধ্যে ৬টার পর বাইরে ঘোরা-ফেরা করতে পারবে না। বাজার-ঘাট করা, সিনেমা-নাটক দেখা, কোনো নারীর উপস্থিতি ব্যতিরেকে একা কোথাও যাবার অনুমতি পাবে না।

যদি ১৬ বছর বয়সের উর্ধে কোনো ছেলে, যুবা ও প্রৌঢ়কে একা জনপরিসরে দেখা যায় তাহলে তাকে পুলিশ এবং/অথবা যে কোনো প্রাপ্ত বয়স্ক নারী সেই পুরুষের বাইরে থাকার কারণ জানতে চাইতে পারবে এবং সেই পুরুষ যদি তার বর্ণিত কারণের পক্ষে যথার্থ যুক্তি ও উপযুক্ত প্রমাণ দেখাতে না পারে তাহলে তাকে হয় পুলিশ নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেবে অথবা প্রয়োজন হলে নিজেদের জিম্মায় নেবে।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে যারা কাজ করবে শুধু সেখানে লৈঙ্গিক বিভাজন করা হবে না। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে তারা হবেন আইন-প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য। তাই, সান্ধ্য আইন তাদের জন্য কার্যকর হবে না।

এছাড়া জাতী-ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে বাংলাদেশে ১৮ থেকে তদোর্ধ সকল পুরুষের জন্য সান্ধ্য আইন জারী করা হোক। তাহলেই নারীরা নিরাপদ।

নারীরা ভূতের চেয়ে পুরুষকে বেশি ভয় পায়। কারণ ভূত রেপ করতে পারে না। নারীরা আজরাইলের চেয়ে পুরুষকে বেশি ভয় পায়। কারণ আজরাইল রেপ করতে পারে না।

নারীরা ড্রাগ্রনের চেয়ে পুরুষকে বেশি ভয় পায়। কারণ ড্রাগন রেপ করতে পারে না।

নারীরা পাগলা কুকুরের চেয়ে মস্তিষ্কে নুনু নিয়ে ঘোরা পুরুষদের বেশি ভয় পায়। কারণ পাগলা কুকুর তাড়া করে বড় জোর কামড়ে মাংস তুলে নেয় কিন্তু রেপ করতে পারে না।

নারীর জন্য নিরাপদ রাষ্ট্র গড়তে হলে নারীর চলাচল সবর্ত্র নির্বিঘ্ন ও নির্ভয় করতে হবে। আর পুরুষদেরকে প্রশিক্ষণে দিয়ে-দিয়ে তাদের মাথা থেকে নুনানুভূতি না নামা পর্যন্ত সান্ধ্য আইন ও প্রশিক্ষনের ভেতর দিয়ে যেতে হবে।

কী? এইসব দাবি খুব আউলা-মাথার অযৌক্তিক প্রলাপ মনে হচ্ছে? কিন্তু এই আউলা মাথার অযৌক্তি বাস্তবতাই তো নারীর জন্য পরোক্ষে বিরাজ করছে সোনার দেশে। এই বাস্তবতাকে কি 'ক্রেজি' মনে হয় না?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়