সালেহ্ বিপ্লব : ডাকসু সদস্য তিলোত্তমা সিকদার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিকটিমকে দেখতে ওসিসির ভেতরে যান। বাইরে এসে রাত তিনটার দিকে অপেক্ষমান সাংবাদিদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তিনি জানান, ঘটনার শিকার ছাত্রী এখন কথাবার্তা বলার মতো সুস্থ রয়েছেন। তার কাছে ঘটনার বর্ণনাও দিয়েছেন।
ওই ছাত্রীর জবানিতে তিলোত্তমা জানান, মেয়েটি সাড়ে ৫টার দিকে ইউনিভার্সিটির বাসে ওঠে। গন্তব্য রাজধানীর শেহরা। কিন্তু ভুলক্রমে বা অন্য কোনও কারণে আগের স্টপেজ কুর্মিটোলায় তিনি নেমে পড়েন। তখন সময় সন্ধ্যা সাতটা। বাস থেকে নেমে আনুমানিক ১৫ কদম যাওয়ার পর পেছন থেকে এসে তার ঘাড় চেপে ধরে একটি লোক। চেহারা ও বেশভূষা থেকে বোঝা যাচ্ছিলো, লোকটি নিম্নশ্রেণীর। সে মেয়েটির ঘাড়ের নার্ভসেন্টারে এমনভাবে চাপ দিয়ে ধরেছিলো, তার পক্ষে একটুও নড়াচড়া করা সম্ভব ছিলো না। ঘাড় ধরেই ছাত্রীটিকে নির্জন স্থানে নিয়ে যায় ওই দুর্বত্ত। ধর্ষণের আগে তাকে বেশ মারধরও করে। এক পর্যায়ে জ্ঞান হারায় মেয়েটি। জ্ঞান ফেরার পর একটি সিএনজি নিয়ে বাসায় ফিরে যায়। তার অবস্থা দেখে ও ঘটনা জেনে পরিবারের সদস্যরা তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম গোলাম রাব্বানী, সামাজিক অনুষদের ডিন সাদেকা হালিম এবং আরো বেশ কজন শিক্ষক হাসপাতালে ছুটে যান। মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেন, তার সার্বিক অবস্থার খবর নেন। ছুটে যান বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
হাসপাতাল থেকে বের হয়ে এসে প্রক্টর গোলাম রাব্বানী আমাদেরসময়ডটকমকে বলেন, সে এখন শারীরিকভাবে কিছুটা ভালো আছে। আর পুলিশ এরই মধ্যে ঘটনাস্থল চিহ্নিত করে তদন্তে নেমে গেছে। ছাত্রীর মোবাইল ফোনটিও চেক করছে পুলিশ। সম্পাদনা : ইয়াসিন আরাফাত
আপনার মতামত লিখুন :