চ্যানেল ২৪ : দেশে দ্বিতীয় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রে কাজ পেতে আগ্রহী চীন ও রাশিয়া। উভয়পক্ষই খোঁজখবর রাখছে এই প্রকল্প নিয়ে। বিজ্ঞানমন্ত্রী বলছেন, দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই আগ্রহীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে বিজ্ঞান সচিব মনে করেন, দ্বিতীয় প্রকল্পে বিনিয়োগে কোন সমস্যা হবে না। একজন বিশেষজ্ঞ মনে করেন, এ ধরনের প্রকল্পে যাওয়ার আগে, জাতীয় সক্ষমতা বাড়ানো জরুরী।
তরতরিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ। প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতার দুই ইউনিটের এই কেন্দ্র, উৎপাদনে আসার কথা ২০২৪ সালে।
ভবিষ্যতে সর্বমোট বিদ্যুতের ১০ভাগই আসবে পরমাণু কেন্দ্র থেকে। এরইমধ্যে দ্বিতীয় প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিতে, পরমাণু শক্তি কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এ কেন্দ্রটির কাজ পেতে বেশ আগ্রহী দুই পরাশক্তি রাশিয়া ও চীন। সম্প্রতি বাকুতে, জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়ে, রাশিয়ার আগ্রহ নিয়ে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে মোমেন। জানান, বিষয়টি বিবেচনায় রয়েছে বাংলাদেশের। এর কয়েক মাস আগে বিজ্ঞানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন চীনের রাষ্ট্রদূত। সূত্র বলছে, পরমাণু প্রকল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী চীনের কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
বিজ্ঞানমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলছেন, সবার আগ্রহের বিপরীতে টেকসই প্রযুক্তি ও জননিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিতে চান তারা।
প্রথম পরমাণু প্রকল্পে সব ধরনের সহায়তা করছে রাশিয়া। মোট ব্যয়ের ৯০ শতাংশ, প্রায় ৯৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে তারা। তবে দ্বিতীয় প্রকল্পের অর্থায়ন নিয়ে মোটেও চিন্তিত নয় বাংলাদেশ।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, টেকনোলোজি তো আমরা এখানে জেনে যাচ্ছি দিনদিন। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম অনেক যোগ্যতা নিয়ে গড়ে উঠছে। তাই পরের পাওয়ার প্লান্টে আর্থিক এবং কারিগরীক কোন দিক দিয়েই আমাদের তেমন অসুবিধা হবে না। বুরং সুবিধাজনক স্থানে থাকবো।
পরমাণু শক্তি কমিশন সূত্র জানাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছেয় দ্বিতীয় প্রকল্পের জন্য দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জায়গার প্রাথমিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ শেষ হয়েছে। ৬টির মধ্যে পটুয়াখালীর নওডোবা-রাঙ্গাবালি চর অথবা বরগুনার সদরের কাছাকাছি একটি স্থানকে বিবেচনা করছে কমিশন।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের অধ্যাপক এম শামসুল আলমের মতে, পরমাণু শক্তির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের আগে, এ নিয়ে জাতীয় সক্ষমতা অর্জন জরুরি। স্থান নির্ধারণের পর, বিনিয়োগে আগ্রহীদের প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শুরু করবে সরকার। অনুলিখন : তন্নীমা আক্তার
আপনার মতামত লিখুন :