সিরাজুল ইসলাম: শুক্রবার বাগদাদে এই বাহিনীর ড্রোন হামলায় ইরানি জেনারেল কাশেম সোলায়মানি নিহতের ঘটনায় এ প্রস্তাব আনা হয়। এতে একটি রেজুলেশন প্রস্তাব পাস করা হলো; যাতে যুক্তরাষ্ট্রকে সেনা সরিয়ে নিতে বলা হলো। রয়টার্স, বিবিসি
পার্লামেন্টের আইন কমিটির সদস্য ও শিয়া নেতা ওমর আল শিবলী বলেন, আইএস জঙ্গিদের পরাজিত করার পর আমাদের এখানে আর মার্কিন সেনাদের থাকার প্রয়োজন নেই। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী দেশকে রক্ষা করতে সক্ষম।
কয়েক দশক ধরে দ্বন্ধ থাকা সত্তে¡ও ইরাকে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান সমির্থত মিলিশিয়ারা পাশাপাশি থেকে আইএসবিরোধী লড়াই করেছে। দেশটিতে পাঁচ হাজারের মতো মার্কিন সেনা রয়েছে। যদি ইরাক তাদের প্রত্যাহার করতে চায়, তাহলে পার্লামেমেন্ট প্রস্তাব পাসের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবদেল আবদুল মাহাদি কেয়ারটেকার হিসেবে গত নভেম্বর থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। গত শুক্রবার দেশের সার্বভৌম রক্ষায় তিনি অধিবেশন আহ্বান করেন। তবে এ অধিবেশনে মার্কিন সেনা হটানোর বিষয়ে আলোচনা হবে- এমন কথা তিনি বলেননি। সোলায়মানি হত্যাকাণ্ডে তার অনেক বিরোধীও ক্ষুব্ধ। এ ঘটনায় তাদের দেশে আরেকটি সংঘাত তৈরি হচ্ছে বলে তারা মনে করেন।ইরাকের তেল ক্ষেত্রগুলোতে অনেক মার্কিনি কর্মরত। সোলায়মানি হত্যাকাণ্ডের পরপরই হামলার আশঙ্কায় জরুরি ভিত্তিতে তারা দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। তবে তেল উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে বলে দাবি করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আপনার মতামত লিখুন :