সিরাজুল ইসলাম : গুগলের স্বাস্থ্য বিভাগ, ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে ইমপেরিয়াল সেন্টার ও নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও রয়্যাল সারি কাউন্টি হসপিটাল এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) উদ্ভাবন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হাজার হাজার নারীর এক্সরে ইমেজের ম্যামোগ্রাম গণনা করে এ পদ্ধতি স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করেছে। এ পদ্ধতি নিখুঁতভাবে স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারে; যা মানুষের রেডিওলজি পরীক্ষায় সম্ভব নয়।
বুধবার বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী ন্যাচারের প্রতিবেদনে বলা হয়, ছয়জন রেডিওলজিষ্ট যে ম্যামোগ্রাম গণনা করেন; সেখানে এআই দুইজন ডাক্তারের মতো কাজ করছিল। এআইর রেজাল্টও ছিল ভাল। আগে দেখা যেত রেডিওলজি পরীক্ষায় একজনের ক্যান্সার ধরা পড়েছে; পরে দেখা যেত ক্যান্সার নেই। আবার পরীক্ষায় ক্যান্সার ধরা পড়েনি, পরে দেখা যেত ক্যান্সার হয়েছে; কিন্তু এআইর পরীক্ষায় এমন ভুল কখনও হয়নি। এ কারণেই এ পদ্ধদিকে সব চেয়ে নির্ভুল পদ্ধতি মনে করা হচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে প্রতি ৮ জন নারীর একজন ক্যান্সারে ভোগেন। নারীরা যেসব ক্যান্সারে মারা যায়, এটা সেগুলোর মধ্যে দ্বিতীয়। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির মতে, উন্নত বিশে^ ব্যাপক কর্মসূচি সত্তে¡ ও ম্যামোগ্রাম গণনা করে পাঁচজনের একজনও স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করে না। ক্যান্সার রিসার্চ ইউকে ইমপেরিয়াল সেন্টারের অধ্যাপক আরা দারজি বলেন, এটা এমন একটা পদ্ধতি; যা রেডিওলজিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। দ্য রয়্যাল কলেজ অব রেডিওলজিস্টের ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটেনে নিরাপদ ও কার্যকর ফলাফল দিতে সক্ষম রেডিওলজিস্টের অভাব রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :