টিভিএনএ প্রতিবেদন : তিনটি কারণে মাওলানা সাদের বিরোধিতা করছে আলেম সমাজ। আর এসব কারণেই বর্তমানে তাবলিগে সংকট তৈরি হয়েছে। এর সাথে কোনোও নেতৃত্বের বিরোধ নেই। আছে আদর্শিক বিরোধিতা। বললেন জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক।
সম্প্রতি ১০ জানুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মাহফুজুল হক বলেন, মাওলানা সাদ’র সাথে তিনটি কারণে বর্তমানে তাবলিগ জামাতে সংকটের তৈরি হয়েছে। এক নম্বর কারণ হচ্ছে, মাওলানা সাদ সূরা বা পরামর্শ পদ্ধতি বাদ দিয়ে একক কর্তৃত্বের দিকে যাওয়ায় সংকট তৈরি হয়। দুই নম্বর কারণ হচ্ছে তার মনগড়া চিন্তা চেতনা ও সেই আলোকে কুরআন সুন্নাহ বিরোধী বক্তব্য। এবং তিন নম্বর কারণটি হচ্ছে তাবলিগের প্রতিষ্ঠাতারা যেভাবে তাবলিগ জামাত পরিচালনা করেছেন সেই ধারার উল্টো পথে মাওলানা সাদ নিজের মনগড়া পদ্ধতিতে তাবলিগের কার্যক্রম শুরু করা।
তিনি বলেন, তাবলিগ জামাত চলে যৌথ নেতৃত্ব তথা পরামর্শভিত্তিক পদ্ধতিতে। কিন্তু মাওলানা সাদ সেটি করেন একক নেতৃত্বে এবং তিনি নিজেও কোনও পরামর্শ ছাড়াই নিজেকে আমির হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, বিশ্ব ইজতেমার ৫৫তম পর্ব শুরু হবে আগামী ১০ জানুয়ারি এবং আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে তা শেষ হবে ১২ জানুয়ারি। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব বলে যে কথা বলা হচ্ছে তা সঠিক নয়। পরের সপ্তাহে মাওলানা সাদের অনুসারীরা ইজতেমা করবে। সেটির সাথে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের কোনও সম্পর্ক নেই।
তিনি বলেন, ২০১৪ সাল থেকে তাবলিগে যে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে তার মূলে রয়েছে, যৌথ নেতৃত্ব তথা পরামর্শভিত্তিক পদ্ধতি বাদ দিয়ে একক নেতৃত্বে কাজ চালানো। এছাড়া মাওলানা সাদের কুরআন-হাদিসবিরোধী মনগড়া নানা মন্তব্য।
তিনি বলেন, অনেকেই বলে থাকেন মাওলানা সাদের বিরোধিতা শুরু হয় বাংলাদেশ থেকে, কিন্তু এই তথ্যটি সঠিক নয়। তার বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য প্রথম বিরোধিতা শুরু হয় খোদ দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজ থেকেই। পরে দারুল উলুম দেওবন্দও এ ব্যাপারে ফতোয়া দেয়া হয়। সেই ফতোয়ার ভিত্তিতেই বাংলাদেশের আলেমরা সাদ সাহেবের ভ্রান্ত মতাদর্শের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। এখন সারা বিশ্বের আলেমরাও বিরোধিতা করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :