ফারুক ওয়াসিফ : চে গুয়েভারা সফল হলে হতেন জেনারেল কাসেম সুলাইমানীর মতো মহাদেশীয় সংগ্রামের সেনাপতি। তৃতীয় দুনিয়ার সামনে এক চৌকস ও ধুরন্ধর সামরিক নেতার আদর্শের দরকার ছিলো, কাসেম সোলাইমানীর মৃত্যুর মাধ্যমে দুনিয়া তা পেয়ে গেলো। পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এক দুর্ধর্ষ সেনাপতি ছিলেন ইরানের কাসেম সোলাইমানী। ভেতরে-বাইরে ইরান যে কঠোরতা দেখায়, তা কাসেমের চরিত্রেরও বৈশিষ্ট্য। সব দিকে আক্রান্ত জাতির টিকতে হলে এমন দৃঢ়তা ছাড়া কী উপায়? হাজি কাসেমকে যুদ্ধে হারানো যায়নি, হারানো হয়েছে কাপুরুষোচিত গুপ্ত হত্যার কায়দায়। পশ্চিমাদের ডিপ স্টেট একটা যন্ত্রদানব।
ব্যক্তির মৃত্যু সেখানে বড় নয়। কিন্তু প্রতিরোধ যুদ্ধ যখন অসম হয়, দানব বনাম মানবের হয়, তখন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধের প্রতিটি যোদ্ধাকে হতে হয় এক জীবনে অনেক জীবনের জোরে শক্তিশালী। কাসেমের মৃত্যু তাই বিরাট ক্ষতি। আমাদের লোকাল গাধারা আইএস, ইসরাইল, সৌদি, মার্কিনের মতো খুশি। শিয়া-সুন্নির গিঁটে বাঁধা তাদের মুলা। তারা চিন্তা করে গাধার মতো, কথা বলে খচ্চরের মতো, প্রভুর শত্রু তাদের শত্রু। বড় চিত্র দেখতে তারা ব্যর্থ। তাদের দিলে ইগোর মোহরমারা বলে চিন্তাটা নেতানো। সন্ত্রাস হলো রাজনীতির নোংরা শাখা সেটা ট্রাম্প বা বুশের নির্বাচন জেতায় সন্ত্রাসবাদী হামলার ব্যবহার দেখে বোঝা যায়। তেমনি যুদ্ধ যে নিপীড়িতের রাজনীতির পরিণত শাখা, তা জাতীয়তাবাদী রাজনীতির (ইরানে, ইরাকে, ইয়েমেনে, লেবাননে, ফিলিস্তিনে) যুদ্ধে পরিণত হওয়া দেখে বোঝা দরকার। যুদ্ধ ঠেকাতে অনেক সময় যুদ্ধ সহায়, আমাদের মুক্তিযুদ্ধ যেমন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :