শিরোনাম
◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল

প্রকাশিত : ০৫ জানুয়ারী, ২০২০, ০৭:০৪ সকাল
আপডেট : ০৫ জানুয়ারী, ২০২০, ০৭:০৪ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঠিকাদার বিড়ম্বনায় উন্নয়ন

ডেস্ক রিপোর্ট  : দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। অথচ সড়ক-মহাসড়কে উন্নয়ন কর্মকান্ডে ঠিকাদারদের বেহায়াপনায় চলাচল করাই দায়। পথে নামলেই বিড়ম্বনা! খানাখন্দে অনেক সড়ক হয়ে গেছে যেন মৃত্যুফাঁদ! কাজ অসমাপ্ত করে ফেলে রাখছেন ঠিকাদার। সামান্য বৃষ্টি হলেই জনভোগান্তি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উন্নয়ন কাজে ঠিকাদার হাতবদলই মূলত এ জন্য দায়ী। এক ঠিকাদার কাজ নিয়ে কেউ বিক্রি করে দেন; কেউবা সাব-ঠিকাদারদের মধ্যে বিলিবণ্টন করেন। এতে মূল ঠিকাদার প্রশাসনের অসাধু ইঞ্জিনিয়ার-কর্মকর্তাদের উপরি দিয়ে বাজেটের বেশির ভাগ টাকা তুলে নেন। সাব-ঠিকাদার টাকা না পাওয়ায় সময়ক্ষেপন করেন। প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন কাজ যেন সিন্ডিকেটের ঠিকাদারদের তেলেসমাতিতে বন্দি। ডিজিটাল পদ্ধতি এবং ই-টেন্ডার কোনো কাজে আসছে না; টাকা খরচ করে জি কে শামীমের মতো ঠিকাদাররা কাজ বাগিয়ে নিয়ে বিলিবন্টন করে থাকেন। এতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় মানুষকে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঠিকাদারদের গাফিলতি, অধিক মনিটরিংয়ের অভাবসহ নানা কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে দলীয় ঠিকাদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় কারো কিছু বলার না থাকায় ধুঁকছে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ না করার প্রবণতা পরিকল্পনা শৃঙ্খলার পরিপন্থী বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, নির্ধারিত সময়ে উন্নয়ন প্রকল্প শেষ না হলে এর সুফল থেকে জাতি যেমন বঞ্চিত হবে, তেমনি প্রকল্পের উদ্দেশ্যও ব্যাহত হবে। আর দেশব্যাপী উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হওয়ায় বেসরকারি বিনিয়োগ অনেকটা স্থবির হয়ে আছে।

জানতে চাইলে পরিকল্পনা সচিব মো. নূরুল আমিন বলেছেন, আমরা নির্দিষ্ট মেয়াদে উন্নয়ন প্রকল্প শেষ করতে বিশেষ তাগাদা দিয়েছি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৬০টির মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঠিকাদারদের গাফিলতি এ জন্য দায়ী। বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়েজ উল্লাহ বলেন, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ না হওয়াটা অবশ্যই পরিকল্পনা শৃঙ্খলার পরিপন্থী। পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের প্রধান মো. খলিলুর রহমান বলেন, যথাসময়ে প্রকল্প শেষ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রকল্প কাজ দীর্ঘদিন পর বাস্তবায়ন হলে এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব হারিয়ে যেতে পারে।

পুরো রাজধানীতেই চলছে উন্নয়ন কাজ। আর এই উন্নয়ন কাজ ঠিকাদারদের গাফিলতিতে অগোছালোভাবে চলায় মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। হঠাৎ করে গত দু’দিন রাজধানীতে বৃষ্টি হওয়ায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে। সূত্র মতে, দলীয় বড় বড় ঠিকাদাররা কাজের ২৫ শতাংশও শেষ না করেই ৮০ শতাংশ টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে। আর বিভিন্ন হাত ঘুরে কাজ পাওয়া ছোট ঠিকাদাররা কাজ করেও টাকা না পাওয়ায় পুরোপুরি শেষ করতে পারছে না। অনেকে কাজ বন্ধ রেখে লাপাত্তা হয়েছেন। এ কারণে প্রকল্প সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করার যে লক্ষ্যমাত্রা অর্থবছরের শুরুতে নির্ধারণ করা হয়েছিল তা পূরণ হচ্ছে না। এমনকি ঠিকাদারদের এই গাফিলতিতে কবে নাগাদ এসব উন্নয়ন কাজ শেষ হবে তা কারোই জানা নেই।

সরেজমিনে গাজীপুর-চৌরাস্তা সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, পুরো সড়কই খানাখন্দে ভরা। গত দু’দিনের হালকা বৃষ্টিতে এখানকার মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে কয়েকগুণ। গত নভেম্বরের শেষ দিকে গিয়েও ওই সড়কের যে চিত্র দেখা গেছে, বর্তমানের চিত্রও একই। কাজের কোন অগ্রগতি নেই বললেই চলে। ওই সড়কে চলমান ইজতেমা মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ ও ঢাকা-বিমানবন্দর মহাসড়ককে শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের কাছে পথচারী আন্ডারপাস নির্মাণ সঠিক সময়ে হচ্ছে না। পাশাপাশি মহাসড়কের টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়ক উন্নয়নে বিআরটি প্রকল্পের কাজ ২০১২ সালে শুরু হয়। প্রথমে ২০১৬ সালে, পরে চলতি বছর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও গত ৭ বছরে ২২ দশমিক ৬২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। শুরুতে ২ হাজার ৩৯ কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয় ধরা হলেও দফায় দফায় সময় ও ব্যয় বাড়িয়ে বর্তমান ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৬৫ কোটি টাকা। তবে এই সময়েও হচ্ছে না প্রকল্প বাস্তবায়ন। ফলে আবারও ব্যয় আর সময় দুটোই বাড়বে বলে সূত্র জানিয়েছে। অথচ এই প্রকল্প কাজের মূল ঠিকাদাররা প্রকল্পের টাকা যে পরিমাণে উত্তোলন করে নিচ্ছেন, কাজের অগ্রগতি তার ধারেকাছেও নেই।

এভাবে উন্নয়ন কাজ বন্ধ থাকা এবং ধীরগতিতে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে টঙ্গী পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে পানি জমে যাচ্ছে। সড়কে স্বাভাবিকভাকে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। দীর্ঘ যানজট লেগে থাকে। এতে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়া যাত্রীরা পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে। পাশাপাশি ওই এলাকার বাসিন্দারা দুঃসহ জীবন-যাপন করছেন।

ঠিকাদারদের গাফিলতিতে সঠিক সময়ে প্রকল্প কাজ শেষ না হওয়ায় একদিকে উন্নয়ন কাজ যেমন ব্যহত হচ্ছে, তেমনি মানুষের ভোগান্তি দিন দিন বাড়ছে। মূল ঠিকাদাররা প্রভাবশালী হওয়ায় ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ ও ছোট ঠিকাদাররা কেউই কিছু বলতে পারছে না। আর ঠিাকাদারদের গাফিলতিতে এভাবে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় দেশে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ছে না। দীর্ঘদিন থেকেই বেসরকারি বিনিয়োগ প্রবৃদ্ধি নিম্নমুখী। অথচ বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অস্থিরতা নেই; নেই জ্বালাও-পোড়াও, হরতাল-অবরোধ। বিদ্যুৎ-গ্যাস সমস্যারও উন্নতি হয়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটও নেই। কিন্তু এ সবের কোনো প্রভাব অর্থনীতির প্রধান সূচক-বিনিয়োগে পড়েনি। যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই আটকে আছে বেসরকারি বিনিয়োগ।
ভোগান্তির শিকার গাজীপুর-চৌরাস্তা এলাকার মানুষ বলছেন, যানজটের কারণে চান্দনা চৌরাস্তা ও ভোগড়া বাইপাস সড়কের মাত্র ২ মিনিটের পথ যেতে সময় লাগে প্রায় আধা ঘণ্টা। কখনও কখনও ঘণ্টাও ছাড়িয়ে যায়। এই দুই সড়ক যেনো মানুষের কাছে ভোগান্তির অপর নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) ৩৫৫টি প্রকল্পের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (আরএডিপি) তৈরির জন্য পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ গত ১৭ থেকে ১৯ ডিসেম্বর সমাপ্ত প্রকল্পের বিষয়ে বৈঠক করে। বৈঠকে ৩৫৫টি প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো জানিয়েছে, ২৯৬টি প্রকল্পের কাজ তারা নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে পারবে। তবে ৬০টি প্রকল্পের কাজ তাদের পক্ষে নির্ধারিত সময়ে শেষ করা সম্ভব হবে না।

চলতি অর্থবছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ না হওয়া প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে- পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকল্প (২০১৬ সাল থেকে চলমান), নাঙ্গলকোট পৌরসভার অবকাঠামো উন্নয়ন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উন্মুক্ত স্থানসমূহের আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন প্রকল্প, পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার ভাঙ্গুড়া-নওগাঁ ডিসিএম সড়ক উন্নয়ন, দেশের গুরুত্বপূর্ণ ২৫টি (সংশোধিত ৪৬টি) উপজেলা সদর/স্থানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপন, খুলনা জেলা কারাগার নির্মাণ, ময়মনসিংহ কেন্দ্রীয় কারাগার স¤প্রসারণ ও আধুনিকীকরণ, কারা প্রশিক্ষণ একাডেমি, রাজশাহী কারাগার নির্মাণ, ঢাকার মতিঝিল সরকারি কলোনিতে (হাসপাতাল জোন কম্পাউন্ড) বহুতল আবাসিক ভবন নির্মাণ এবং শ্যামগঞ্জ-জারিয়া-বিরিশিরি-দুর্গাপুর জেলা মহাসড়ককে জাতীয় মহাসড়ক মানে উন্নয়ন প্রকল্প। তবে চ‚ড়ান্ত পর্যালোচনায় চলতি অর্থবছরে কয়েকটি প্রকল্পের কাজ শেষ হচ্ছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু নির্মাণ, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় চার লেনবিশিষ্ট ফ্লাইওভার নির্মাণ, ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের যাত্রাবাড়ী ইন্টার সেকশন থেকে মাওয়া পর্যন্ত এবং পাচ্চর ভাঙা অংশ ধীরগতির যানবাহনের জন্য পৃথক লেনসহ চার লেনে উন্নয়ন প্রকল্পের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্তকরণ, চারশ’ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণ এবং ভেড়ামারা-বহরমপুর দ্বিতীয় ৪০০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন (বাংলাদেশ অংশ) নির্মাণ প্রকল্প।

বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব আবুল মনসুর মো. ফয়েজ উল্লাহ বলেন, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শেষ না হওয়াটা অবশ্যই পরিকল্পনা শৃঙ্খলার পরিপন্থী। কারণ একটি প্রকল্প শেষ না হলে এর ব্যয়ও বেড়ে যায়। প্রকল্পটি থেকে জনগণও কোনো সুবিধা পায় না। অনেক ক্ষেত্রে এটি আর্থিক শৃঙ্খলারও পরিপন্থী।
পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের প্রধান মো. খলিলুর রহমান বলেন, যথাসময়ে প্রকল্প শেষ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, প্রকল্প কাজ দীর্ঘদিন পর বাস্তবায়ন হলে এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব হারিয়ে যেতে পারে।

এদিকে দেশব্যাপী উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ সঠিক সময়ে না হওয়ায় বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের প্রবৃদ্ধি কমে এক অঙ্কে নেমে এসেছে। যা দেশের জন্য একটি উদ্বেগের কারণ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গত বৃহস্পতিবারের তথ্যে দেখা যায়, নভেম্বর শেষে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ। অক্টোবর শেষে তা ছিল ১০ দশমিক ০৪ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রানীতিতে এই খাতে ঋণের যে লক্ষ্য ধরেছে, বর্তমান অঙ্ক তার থেকে প্রায় ৫ শতাংশ পয়েন্ট কম। আর এটাকেই ‘এই মুহূর্তে’ বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম প্রধান সমস্যা হিসেবে দেখছেন অর্থনীনৈতিক বিশ্লেষক এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ও আহসান এইচ মনসুর।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা মির্জ্জা আজিজ বলেন, এটা খুবই উদ্বেগের যে, বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে, যা মুদ্রানীতির লক্ষ্যের চেয়ে অনেক কম। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর একে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, এমনিতেই বিনিয়োগের অবস্থা খারাপ। বেশ কিছুদিন ধরে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ কম। তার উপর ব্যাংক থেকে সরকার প্রচুর ঋণ নেয়ায় এই প্রবাহে আরও টান পড়েছে।

গত ২০১৮-১৯ অর্থবছর শেষে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহের প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক ৩২ শতাংশ। এই মন্থর গতির কারণে গত ৩১ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৯-২০ অর্থবছরের যে মুদ্রানীতি ঘোষণা করে, তাতে ঋণ প্রবাহের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য কমিয়ে ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ ধরা হয়।

সূত্র - ইনকিলাব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়