শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৫ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:৩৩ সকাল
আপডেট : ০৫ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:৩৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাংবাদিকতার আড়ালে অপহরণকারী সিন্ডিকেট

ঢাকা : হাফিজ মাওলানা আব্দুল মজিদ (৩৮) একটি ঔষধ কোম্পানীতে কর্মরত। মজিদের সাথে সুরাইয়া জাহান মেঘলা নামে এক নারীর সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। এরই সূত্র ধরে মজিদকে চায়ের দাওয়াদ দেয় মেঘলা। সেই দাওয়াতে সাড়া দিলে মালিবাগের পশ্চিম চৌধুরীপাড়ায় একটি ফ্ল্যাটে মজিদকে ডেকে নেয় মেঘলা।

সেখানে গেলে পূর্ব থেকেই উপস্থিত ৪/৫ জন লোক জোরপূর্বক মজিদের পরিধেয় বস্ত্র খুলে উলঙ্গ করে এবং ঐ নারীও তার নিজের পরিধেয় বস্ত্র খুলে মজিদের পাশে অবস্থান নেয়। মজিদ বারবার বাধা দিলে তাকে বেধরক মারপিট করা হয়।

এমতাবস্থায় মজিদ এবং ঐ নারীর একসঙ্গে অশ্লীল ভিডিও ধারন করে অপহরণকারী চক্রটি। এরপর তারা মজিদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। অন্যথায় এসব ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হবে বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এই ঘটনায় বাধ্য হয়ে মজিদের পরিবার র‌্যাব-৩ ক্যাম্পে এসে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে র‌্যাব-৩ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গোয়েন্দা নজরদারী ও প্রযুক্তির সহায়তায় শনিবার (৪ জানুয়ারি) ভোরে মালিবাগ সিআইডি অফিস ভবনের বিপরীত পাশের রাস্তা হতে অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে।

অভিনব কায়দায় অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে মুক্তিপণ দাবিকারী চক্রের এই দুই সদস্য হল- বরিশালের সৈয়দ রাসেল (২৬) এবং মোঃ তারেক হোসেন (৩৪)। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চালালে র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরনকারী চক্রের অন্যান্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। এবং সেখান থেকে ভিকটিমকে আটক অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের কাছ থেকে ‘সংবাদ প্রতীক’ নামীয় ২টি ও ‘বাংলাজমিন’ নামক পত্রিকার ১টি আইডিকার্ড উদ্ধার করা হয়। এবং তাদের মোবাইল হতে জোরপূর্বক ধারনকৃত অশ্লীল ভিডিও পাওয়া যায়।

আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা ৬/৭ জনের একটি চক্র যেখানে এমন নারী সদস্যও রয়েছে। এভাবে বিভিন্ন সময়ে তারা বিভিন্ন ব্যক্তিকে কৌশলে অপহরণ করে জোরপূর্বক অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছে।

তারা প্রায় সবাই কোন না কোনভাবে অনলাইন মিডিয়ার ভূয়া আইডি কার্ড তৈরী করে ভূয়া সাংবাদিকতার আড়ালে এ ধরনের অপরাধ করে আসছে। তারা আরো জানায় যে, অশ্লীল ভিডিওগুলো তারা ডিলিট না করে সংরক্ষন করে রাখে এবং পরবর্তীতেও বিভিন্ন সময়ে ব্লাকমেইল করে মোটা অংকের টাকা আদায় করে ভিকটিমদের কাছ থেকে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়