সাইফুর রহমান : সাইবার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তেহরানের চরম প্রতিশোধের হুমকির মুখে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পাওয়ার গ্রিড, স্বাস্থ্যসেবা, ব্যাংক এবং যোগাযোগ নেটওয়ার্কসহ ব্যক্তি মালিকানাধীন আরো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। তেহরানের পারমাণবিক সক্ষমতার লাগাম টেনে ধরতে ২০১০ সালে যৌথভাবে স্টাক্সনেট কম্পিউটার ভাইরাসের উন্নয়ন ঘটায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। এরপর নিজেদের সাইবার খাতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়ে ২০১১ ও ২০১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকসহ আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা চালায় ইরান। এর জবাবে ইরানি গোয়েন্দা সংস্থা ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থার ওপর হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। সিএনবিসি,ফোর্বস, ব্লুমবার্গ।
যুক্তরাজ্যের টাফটস ইউনিভার্সিটি ফ্লেচার স্কুলের অধ্যাপক ও সাইবার নিরাপত্তা বিশ্লেষক জোসেফিন বলেন, ‘আমরা ছোটখাটো গুপ্তচরবৃত্তি এবং নাশকতা দেখেছি কিন্তু তা রক্তপাত পর্যন্ত গড়াতে দেখিনি। মার্কিন জনগোষ্ঠীর বড় অংশকে বিদ্যুৎ সরবরাহের বাইরে নিয়ে যাওয়ার সক্ষমতা কি ইরানের আছে? তাদের প্রতিক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে তেমন ক্ষমতা থাকলে এ মুহুর্তে তারা তা ব্যবহারের কথা বিবেচনা করতে পারে।’ নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ওলফ মনে করেন, ইরান কখন এবং ঠিক কিভাবে পাল্টা হামলা চালাতে পারে তা বোঝা না গেলেও ইরানি সাইবার আক্রমনকারীরা ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সিস্টেমের মধ্যে ঢুকে পড়েছে এবং যেকোনো সময় আক্রমন চালাতে পারে। নিজেকে নিরাপদে রেখে রক্তপাতহীন সাইবার হামলাই প্রতিশোধের অন্যতম উপায় বলেও মনে করেন তিনি।
সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান ফায়ার আইয়ের পরিচালক জন হাল্টকুইস্ট মনে করেন, ইরান এমুহুর্তে ছোটখাটো মার্কিন প্রতিষ্ঠানের ওপর প্রতিশোধে মনোযোগী হতে পারে। তাদের হয়তো এখনো কোনো একটা সিস্টেম পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়ার সক্ষমতা নেই। তবে তারা ব্যাপকভাবে তথ্য মুছে দেয়া বা বড় ধরনের কোনো সিস্টেম আংশিকভাবে নড়বড়ে করে দিতে পারে।সম্পাদনা : তন্নীমা আক্তার
আপনার মতামত লিখুন :