সমীরণ রায়: শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু আদর্শ ও নীতি নিয়ে ছাত্রলীগকে গড়ে তুলেছিলেন। বাঙালির প্রতিটি অর্জনে ছাত্রলীগের বড় ভূমিকা আছে। শহীদদের তালিকা যদি করি, তাহলে সেখানেও আছেন ছাত্রলীগের কর্মীরা।
তিনি বলেন, আদর্শ, সতত ছাড়া নেতৃত্ব গড়ে উঠতে পারে না। বঙ্গবন্ধু কখনো অর্থ-সম্পদের দিকে তাকাননি। সারা জীবন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে রাজনীতি করেছেন। ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু, সেই আদর্শকে ধারণ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে নিউক্লিয়াস ফর্ম গঠন করেছেন। সকল আন্দোলনের সূতিকাগার হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাদের নির্দেশনা দিতেন যেন সেই নির্দেশনা সমগ্র বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। শুধু তাই নয়, জয় বাংলা স্লোগান যাতে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়া যায়, তার দায়িত্বও ছাত্রলীগকে দেয়া হয়েছিলো। যখন আমার বাবা জেলে ছিলেন ছাত্রলীগের নেতারা যোগাযোগ করতেন আমার মায়ের সঙ্গে। মা ছাত্রলীগ নেতাদের যেভাবে নির্দেশনা দিতেন, নেতারা সেইভাবে নির্দেশনা পালন করতেন।
তিনি বলেন, ১৯৫৮ সালে যখন মার্শাল ল’ দেয়া হলো তখন বঙ্গবন্ধু কারাগারে থেকেই সিদ্ধান্ত নিলেন যে, যেভাবেই হোক এই বাংলাকে মুক্ত করতে হবে, স্বাধীন করতে হবে। ১৯৬০ সালে বঙ্গবন্ধু যখন জেল থেকে মুক্তিলাভ করেন তখন শুধু রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল তা নয়, তখন তার ঢাকার বাইরে যাওয়াও নিষিদ্ধ ছিল। তখন তিনি ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করার নির্দেশনা দিয়ে পদক্ষেপ নেন। ১৯৬৬ সালে ছয়দফা ঘোষণা করে তিনি পুরো বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং ছাত্রলীগকে দিয়ে কাজ করিয়েছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :