রাশিদ রিয়াজ : গড়ে কানাডার করপোরেট এলিট কর্মকর্তারা ১১.৮ মিলিয়ন ডলার বা ১ কোটি ডলারেরও বেশি বেতন পেয়েছেন ২০১৮ সালে। এর দুই বছর আগে তাদের গড় বেতন ছিল ১০.৪ মিলিয়ন ডলার। গত বছরে তাদের বেতনের পরিমান এখনো জানা না গেলেও তা বেড়েছে বৈ কমেনি। এই ১শ সিইও’র মধ্যে মাত্র ৪ জন হচ্ছেন নারী। এ পরিসংখ্যান করেছে কানাডিয়ান সেন্টার ফর পলিসি অল্টারনেটিভস (সিসিপিএ) নামের একটি প্রতিষ্ঠান এবং এর সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ডেভিড ম্যাকডোনাল্ড বলেছেন গত ১৩ বছর ধরে কর্মীদের তুলনায় এত ব্যাপক হারে সিইও’দের বেতন তুলতে দেখছি। এ বৈষম্য ভেঙ্গে দিতে হলে একজন সিইও’র বেতন বছরে ৬০ লাখ ডলারের বেশি দেয়া যাবে না। স্ট্রেইট ডট কম
পরিসংখ্যান আরো বলছে গত ১০ বছর আগেই সিইও’দের বেতনের ব্যাপারে সাবধান হওয়া উচিত ছিল। শতকরা ৮০ ভাগ সিইও’দের বেতন কর্মীদের তুলনায় এত বেশি ফারাক হয়ে যায় কোম্পানিগুলোর শেয়ারমূল্য থেকে বোনাস প্রাপ্তির কারণে। ২০১৮ সালে সিইও হিসেবে সবচেয়ে বেশি বেতন পান ব্লাকবেরির জন চেন। যিনি ১৪ কোটি ২০ লাখ ডলার বেতন ছাড়াও শেয়ার বোনাস বাবদ আরো ১৩ কোটি ৭৭ লাখ ডলার পান। এরপর হাডসন বে’র হেলেনা ফকস যিনি বেতন ও অন্যান্য সুবিধা মিলে পান ৫ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। ৪ লাখ ২১ হাজার ১০৩ ডলার বেতন হলেও অন্যান্য সুবিধা মিলে ম্যাগনা ইন্টারন্যাশনালের সিইও ডোনাল্ড জে ওয়াকার ঘরে তুলেছেন ২ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আর টেলাস করপোরেশনের সিইও ড্যারেন এনটুইস্টল পেয়েছেন মোট ১ কোটি ২৬ লাখ ডলার। কানাডা সরকারকে তাই সিইও’দের আয়ের ওপর আরো বেশি করে কর আরোপ করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।