দেবদুলাল মুন্না: ইরানের সোলাইমানিকে হত্যার পর তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোহাম্মদ মারান্ডি এবিসি টিভিকে বলেন, ‘ বড়োরকমের যুদ্ধ লাগবে না। হামলা পাল্টা হামলা হতে পারে কিছুদিন। তবে ইরান এক ‘বীর’কে হারানোর ফলে হতাশা কাজ করবে জাতির মধ্যে। কয়েকটি মুসলিম দেশ খুশি। তাদের সাথে ইরানের সম্পর্ক আরও খারাপ হবে। আমেরিকার সঙ্গে আর সমঝোতার সুযোগ থাকল না।’
মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক আইডেন্টিটি নিউজের সাংবাদিক নানিসে মুহাম্মদ মনে করেন,সোলাইমানিকে হত্যা ঘটনাকে সৌদি আরবের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্রে হামলার ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবেই কল্পনা করে আপাতত তৃপ্ত হবে তারা। তবে হুথি গোষ্ঠী ইয়েমেন ও সীমান্ত এলাকায় সৌদি আরবকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ছে। সস্প্রতি তাদের বেশ কয়েকটি হামলা অন্তত সেটাই প্রমাণ করে।
আলজাজিরার সাংবাদিক ওসামা বিন জাভেদ মনে করেন ‘ এ হত্যায় ইরাকের খুশি হওয়ার কিছু নেই। কারণ ইরাককেও দাসে পরিণত করবে আমেরিকা।’
বিবিসির মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক জেরেমি বোয়েন বলেন, যুদ্ধ হবে না। সবচেয়ে বড় সুযোগ নেবে আইএস জঙ্গিরা। আর সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়বে লেবাননের হিজবুল্লাহ এবং ফিলিস্তিনের হামাস।
গার্ডিয়ানের সাংবাদিক জুলিয়ান বার্গার মনে করেন, তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে এরই মধ্যে বেশ কিছু দেশের শেয়ার বাজারে ধস নামতে শুরু করেছে।মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে ইরানের চালানো ছদ্মযুদ্ধে ভাটা পড়বে। ওই অঞ্চলে ইরানি প্রভাব কমবে।
আপনার মতামত লিখুন :