মাজহারুল ইসলাম : এ কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বছরের শুরুতেই ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াটসম্পন্ন পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে আসছে। এতে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা আরো এক হাজার মেগাওয়াট বাড়বে। তাই ছোট বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হবে। তবে সেটি করতে হবে খুব ধীরে ধীরে। এই কাজ এক দিনে হবে না। সূত্র : যায়যায়দিন
পিডিবির তথ্য মতে, বর্তমানে দেশে ১৯ হাজার ৪৬৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। এর মধ্যে উৎপাদন করা যায় ১৮ হাজার ৯৪৪ মেগাওয়াট। যদিও আমাদের বিদ্যুতের চাহিদা এখন ৮ হাজার ৭০২ মেগাওয়াট। সে হিসাবে প্রায় ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় না।
জানা যায়, বিদ্যুৎকেন্দ্র না চালালে বসে থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে দিতে হয় ক্যাপাসিটি চার্জ। ২০২০ সালে ২০ হাজার ৩১ কোটি টাকা হবে সম্ভাব্য ক্যাপাসিটি পেমেন্ট। এ অবস্থায় তেলভিত্তিক বেশি মূল্যের বিদ্যুৎ থেকে বের হয়ে আসার দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরাও
উল্লেখ্যে, তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো গড়ে ইউনিট প্রতি (ফার্নেসচালিত) ১৫ টাকা আর ডিজেলে ২৩ টাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। গ্যাসে এই খরচ আড়াই টাকা। কয়লায় সাড়ে ৬ টাকা খরচ হয়। আর নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে (সোলার) এই খরচ এখন নেমে এসেছে ৬ থেকে ৭ টাকার মধ্যে। সম্পাদনা : সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :