মাজহারুল ইসলাম : ইরানের অভিজাত বাহিনী রেভ্যুলেশনারি গার্ড বা কুদুস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলায়মানিকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং আগামী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের সম্ভাব্য প্রার্থী জো বাইডেন ওই কথা বলেছেন।
ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদদের অনেকেই বলছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকানদের মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছেন।
এদিকে, এরই মধ্যে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামিনি হুশিয়ারি দিয়েছেন ভয়াবহ প্রতিশোধের, যা উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেনের মতো দেশগুলোতে তেহরানপন্থি শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলো পরাক্রমশালী হয়ে উঠার রূপকার ছিলেন এই সোলায়মানি। তাই বহুদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের একনম্বর টার্গেট ছিলেন ইরানি এই জেনারেল।
বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলের পাশাপাশি জর্জ বুশ ও বারাক ওবামা সোলায়মানিকে হত্যার পরিকল্পনা করেও পরিণতির কথা ভেবে পিছপা হয়েছিলেন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এমন সময় এ হত্যাকাণ্ড ঘটালেন, যখন তার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট অনুমোদন করেছে মার্কিন কংগ্রেস। বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্তের পেছনে ট্রাম্পের রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি দেখতে শুরু করেছেন। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানের সাংবাদিক জুলিয়ান বার্গার লিখেছেন, আগামী নভেম্বরে নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সোলেইমানিকে হত্যার এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বিবিসির মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সম্পাদক জেরেমি বোয়েন বলছেন, দুর্বল ইরান তেমন কিছু করতে পারবে না বলে ট্রাম্প যে ভরসা করছেন, বাস্তবে তা হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। ইরান যে তার হত্যার একটা জবাব দেবে, তা নিশ্চিত। সোলেইমানি দেশের বাইরে ইরানের যে প্রভাব-প্রতিপত্তি তৈরি করেছিলেনন, তা টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করবে ইরান। সম্পাদনা : তন্নীমা আক্তার
আপনার মতামত লিখুন :