বাপ্পাদিত্য বসু : সেই জামায়াত দুঃশাসনের যুগে যারা রাস্তা কাঁপাতেন দুঃসাহস নিয়ে তাদের অন্যতম এবং সামনের কাতারে ছিলেন আপা। সম্পর্কটাও তাই আচ্ছন্ন থেকেছে। এক লেখা নিয়ে খুব রাগরাগি হলো আপা আমাকে আনফ্রেন্ড করে দিলেন। তাই আপনার বাসায় নিমন্ত্রণ খেতে আর যাওয়া হলো না। আর কোনোদিনই সে রাগ মেটানোর সুযোগটুকু হবে না আপা। কলকাতায় বসে নিউজে দেখলাম আপা অসুস্থ। খুব অসুস্থ। ভাবলাম দেশে ফিরে হাসপাতালে যাবো।
কাল ফেরার পথে বাসে বসে নিউজে দেখলাম, আপনার অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ভাইয়ের বরাতে নিউজে লিখলো, আপনাকে বিদেশ নেয়া হবে। ভাবলাম, এবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা করে রাগা মানিয়ে বাসায় নিমন্ত্রণটা আবার করে নেবো। রাত দুটায় ফিরলাম। সকালে উঠলাম, আর নিউজে ঢুকলাম। ততোক্ষণে আপা চিরতরের যাত্রা নিয়েছেন। সত্যি কি এতো দূরে যাওয়াটা খুব দরকার ছিলো আপা? রাগ এভাবে শেষ হওয়ার কথা ছিলো না তো। ক্ষমা করে দিয়েছেন তো আমাকে আপা? ভবিষ্যতে আবার যেদিন রাস্তায় সংগ্রাম হবে, সেদিন আপনার অভাব বোঝা যাবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :