সাইফুর রহমান : সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে এ মুহুর্তে ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারীরা নিরামিষ খাবারের পেছনে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করেন। যার ফলে ট্রেন্ড অনুযায়ী সুপারমার্কেটগুলোও নিরামিষ খাবারের সঙ্গে মানানসই খাবার বেশি বেশি রাখতে শুরু করেছে। তবে এ দু’টি দেশের তুলনায় সংখ্যায় কিছুটা কম হলেও সারা বিশ্বেই বাড়ছে নিরামিষাশীদের সংখ্যা। ২০১৭ সাল পর্যন্ত সারা বিশ্বে মাংসবিহীন খাবারের চাহিদা বেড়েছে প্রায় এক হাজার গুণ। ২০১৮ সালে ভেগান সোসাইটির এক জরিপে দেখা যায়, যুক্তরাজ্যে এখন ছয় লাখের মতো মানুষ নিরামিষ খাদ্য তালিকা মেনে চলেন। অথচ ২০০৬ সালে এ সংখ্যা ছিল মাত্র দেড় লাখের মত। এদের মধ্যে আবার পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি। বিবিসি
শুধু তাই নয়, নিরামিষভোজীদের মধ্যে আবার পোশাক এবং প্রসাধন সামগ্রীর ক্ষেত্রেও অপ্রাণীজ উপাদান থেকে তৈরি পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ২০১৮ সালে সুপারশপ ওয়েইটরোজ নিজেদের ১৩০টি দোকানে আলাদা ভেগান শাখা খোলে। সেই সঙ্গে কেএফসি, ম্যাকডোনাল্ডস এবং গ্রেগস এর মত বিশ্বখ্যাত ফাস্টফুড কোম্পানিগুলোও তাদের আউটলেটগুলোতে ভেগান ফুড চালু করতে বাধ্য হয়েছে। আরিয়ানা গ্রান্ডে, মাইলি সাইরাস এবং এলেন ডি জেনেরাসের মতো আরো বেশ কয়েকজন বিখ্যাত তারকা প্রাণীজ উৎস থেকে আসা খাবার এড়িয়ে চলেন। স্বাস্থ্য সচেতনতার পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম, ফেইসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবিষয়ে প্রিয় তারকাদের দৈনন্দিন জীবনধারা এক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে বলে সমীক্ষায় দেখা গেছে। সম্পাদনা : তন্নীমা আক্তার
আপনার মতামত লিখুন :