আপেল মাহমুদ: গত বছর মারা যাওয়া ১১০ বাঘের মধ্যে ৩৮টির মৃত্যু হয়েছে চোরা শিকারিদের হাতে। ২০১৮ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ৩৪। সে বছর সর্বমোট ১০৪টি বাঘ ও ৫০০টি চিতাবাঘ মারা গিয়েছিল। ২০১৯ সালে সেটি কমে এসেছিল ৪৯১টি। এছাড়া রেল ও সড়ক দুর্ঘটনাতেও মারা গেছে বহু চিতাবাঘ। মৃত্যু হওয়া অধিকাংশই বাঘই শিকারিদের শিকারে পরিণত হয়। ভারতের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওয়াইল্ডলাইফ প্রোটেকশন সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
ভারতে বাঘের জন্য সর্বমোট ৫০টি সংরক্ষিত বনাঞ্চল রয়েছে। এসব বনাঞ্চল রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, উত্তরখন্ড, আসাম, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড, রাজস্থান, ওডিশা, পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা, অন্ধ্র প্রদেশ, তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড়, অরুণাচল প্রদেশ, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু ও মিজোরামে।
সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাঘ রয়েছে উত্তরখন্ডের করবেট বনাঞ্চলে। সেখানে ২০১৪ সালের হিসাব অনুযায়ী বাঘের সংখ্যা ২১৫টি। এরপর রয়েছে কর্ণাটকের বন্দিপুর বনাঞ্চলে, সেখানে বাঘের সংখ্যা ১২০ টির মতো। তৃতীয় স্থানে রয়েছে আসামের কাজিরাঙ্গা, সেখানে বাঘ আছে ১০৩টি। এ ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবনে রয়েছে ৬৮টি। বাঘ সবচেয়ে কম রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বনাঞ্চলে। এখানে বাঘের সংখ্যা ২টি। এরপর রয়েছে ওডিশার সাতকোশিয়া বনাঞ্চল, এখানে বাঘের সংখ্যা ৩টি। ছত্তিশগড়ের উদানীতি বনাঞ্চলে বাঘের সংখ্যা ৪টি।
ভারতের ন্যাশনাল টাইগার কনজারভেশন অথোরিটি অব ইন্ডিয়ার এক হিসাবে বলা হয়েছে, ২০০৬ সালে ভারতে বাঘ ছিল সর্বমোট ১ হাজার ৪১১টি। ২০১০ সালে সেই সংখ্যা বেড়ে হয়েছিল ১ হাজার ৭০৬ তে। এরপর ২০১৪ সালে সেই সংখ্যাটি বেড়ে হয়েছিল ২ হাজার ২২৬ টি। আর ২০১৯ সালে বাঘের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়ায় ২ হাজার ৯৬৭টি। সম্পাদনা: রাশিদুল
আপনার মতামত লিখুন :