ইমরুল শাহেদ : ইউটিউব চ্যানেলের ব্যবসাকে রমরমা করে তুলতে এক শ্রেণীর কর্মী নিরলসই কাজ করে যাচ্ছেন বলে বলা যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চোখ বুলালেই দেখা যায়, অনেক নির্মাতা স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবির নানা ভঙ্গিমার ছবি দিয়ে পোস্ট করেন। ফেসবুকে এখন নাটক বা চলচ্চিত্র বিষয়ক বা এ বিষয়ে অনলাইনে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পোস্ট কমই দেখা যায়।
নির্মাতাদের বেশি নজর স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের দিকেই। কেন এটা? একজন ইউটিউবার বললেন, স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিগুলোর জন্য কোনো সেন্সর সনদপত্রের প্রয়োজন হয় না। সেগুলো যেমন খুশি নির্মাণ করা যায়। তাতে যৌন সুড়সুড়ি থাকলেও কোনো সমস্যা থাকে না। তাতে ভিউয়ার্স বাড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই ইউটিউবার বলেন, বিনিয়োগটা দীর্ঘ মেয়াদে হলেও ফেরত পাওয়া যায়, অন্তত লোকসান দিতে হয় না। এছাড়া স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের ক্ষেত্রে একটা ‘আঁতেল’ ভাব থাকে, যা নির্মাতারা বুক ফুলিয়ে প্রকাশ্যেই জাহির করেন। কিন্তু এর মধ্যে কি ধরনের আঁতলামি আছে বুঝা মুশকিল। লক্ষ্য যদি শিল্পচর্চার পরিবর্তে ভিউয়ার্স হয়, তাহলে সেটা কি হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
একজন ভিউয়ার বললেন, বিজ্ঞাপনের আধিক্যের কারণে এখন টেলিভিশনে চোখ রাখা যায় না। অর্থাৎ তারা বলতে চান লাগাতার বিজ্ঞাপন মনোযোগ নষ্ট করে। এভাবে এখন হাতে হাতে এনড্রয়েড থাকায় টেলিভিশনও ভিউয়ার্স হারাচ্ছে। পরিবর্তে দর্শক এমবি খরচ করে ইউটিউবেই ঢুকে যাচ্ছেন। তারা মনোরঞ্জনের জন্য যেমন খুশি প্রোগ্রাম দেখেন। বিশেষ করে যৌন সুড়সুড়িমূলক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের প্রতিই সবার আগ্রহ থাকে। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের নির্মাতারাও ভিউয়ার্সদের সেই দূর্বল দিকটিরই সুযোগ নিচ্ছেন।
এসব নির্মাতারা প্রকাশ্যে নিজেদের যতটাই আঁতেল মনে করেন না কেন, নির্মাণের নেপথ্যেও রয়েছে নানা কাহিনী। দৈর্ঘ্যরে স্বল্পতার কারণে এ ধরনের ছবি নির্মাণ করতে সময় লাগে কম। স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবির শিল্পীরা নিজেদেরকে অভিনেত্রী বা শিল্পী বলেন না, বলেন মডেল। এসব মেয়ে মডেলদের নিয়ে নির্মাণ বিনোদনে মেতে থাকতেও নির্মাতাদের কোনো অসুবিধা হয় না। কারণ এখানে কোনো সামাজিক প্রতিবন্ধকতা নেই। সুতরাং এ অবাধ বিষয়টিকে একটা নীতিমালা প্রণয়ন করে সামাজিক নিয়মের মধ্যে আনা এখন জরুরি হয়ে পড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :