শিউলী আক্তার : ম্যাচ ফিক্সিং না করেও শাস্তি ভোগ করছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় দুই বছরের আইসিসির দ্বারা নিষেধাজ্ঞা পেয়ে ক্রিকেট থেকে বিরত আছেন তিনি। এতে যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কোনো হাত নেই।
তবে প্রশ্ন উঠে, ক্রিকেটারদের সাথে বিসিবির কেন্দ্রিয় চুক্তি থেকেও কি বাদ পড়বেন সাকিব আল হাসান? তখন তাড়াহুড়া করে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি বোর্ড। আইসিসি’র দেয়া শাস্তির ব্যাখ্যাতেও এমন কোনো নির্দেশনা স্পষ্ট ছিলো না। যদিও নিষিদ্ধ ক্রিকেটার বাদ পড়বেন-এটাই প্রচলিত প্রথা।
এরই ধারাবাহিকতায় গত দুই মাসের বেতন দেয়া হয়নি সাকিবকে। তার অর্থ দাড়ায় বিসিবির কেন্দ্রিয় চুক্তি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে তাকে। ২০১৯ সালের চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই সাকিব আল হাসান বাদ। তৈরি হচ্ছে ২০২০ সালের নতুন কেন্দ্রিয় চুক্তির তালিকা। সেখানেও সাকিব যে থাকছেন না সেটা নিশ্চিত।
এসবই প্রমাণ করে শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে কোনো ছাড় নেই বিসিবিতে। আইন সবার জন্য সমান।
তবে এই তত্ত্ব বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন বিসিবির পরিচালক লোকমান হোসেন ভুইয়া। বাসায় মাদক রাখার অপরাধে জেলে গেছেন তিনি। ৪১ কোটি টাকা পাচারের অপরাধে হয়েছে মানি লন্ডারিং মামলা। সেই ব্যক্তি এখনো বহাল তবিয়তে বোর্ডের পরিচালক। প্রায় তিন মাস পেরিয়ে গেলেও গঠণতন্ত্রের দোহাই দিয়ে এখনো লোকমান আছেন লোকমানের মতোই।
ফ্যাসিলিটি বিভাগের চেয়ারম্যান থেকে লোকমান হোসেনকে সরিয়ে দেয়ার কোনো আনুষ্ঠানিক বার্তাও দেয়নি বোর্ড। পূর্বাচলে ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ৫ সদস্যের কমিটিতে তিনি আছেন কিনা সেটাও পরিষ্কার নয়।
তাই তো ক্রিকেট মহলে প্রশ্ন, আইন আর নৈতিকতা বিষয়ে কঠোর বিসিবি কি সবক্ষেত্রে কঠোর হতে পারছে?
আপনার মতামত লিখুন :