শিউলী আক্তার : বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সিলেট পর্বের প্রথম দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারিওর্সের দেয়া ১৪০ রানের লো-স্কোরিংয়ে প্রায় হেরেই যাচ্ছিলো সিলেট থান্ডার। টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের হারিয়ে এই রান শেষ পর্যন্ত টপকাতে পারবে কিনা এই যখন চিন্তার ভাঁজ তখন টেলেন্ডার ব্যাটসম্যানরা সেটিকে সুপার ওভারে নিয়ে ম্যাচটিকে উত্তেজনাকর করে তুলে। শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে গিয়ে কুমিল্লার কাছে হেরে যায় সিলেট।
সুপার ওভারে আগে ব্যাট করে আন্দ্রে ফ্লেচার ও রাদারফোর্ডের ব্যাটে মোটে ৮ রানের টার্গেট দাঁড় করে সিলেট। এ রানের জবাব দিতে কুমিল্লার হয়ে ব্যাট করতে নামেন সৌম্য সরকার ও ডেভিড উইজ। তবে ০ রান করে সৌম্য আউট হয়ে গেলে খানিক শঙ্কায় পড়ে কুমিল্লা। পরে শঙ্কা কাটিয়ে নাভিদ-উল হকের করা সুপার ওভার থেকে পঞ্চম বলের সময় জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। এই ম্যাচ হারের ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে বিপিএলে বিদায় ঘণ্টা বাজল সিলেট থান্ডারের।
এদিন মূল ম্যাচে আগে ব্যাট করে সিলেটের সামনে ১৪১ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে কুমিল্লা। উদ্বোধনীতে ৪২ রানের জুটি পেলেও পরের দিকে আর কোনো ব্যাটসম্যান ভালো স্কোর করতে পারেনি। উপুল থারাঙ্গার ৪৫, মাহিদুল ইসলাম ১৯ ও সাব্বির রহমানের ১৭ রানের উপর ভর করে ১৪০ রান সংগ্রহ করতে পারে কুমিল্লা।
এর জবাব দিতে নেমে ভূতুরে শুরু হয় সিলেটের। মাত্র ৩৩ রান তুলতেই টপ অর্ডারের ৫ উইকেট হারায় তারা। পরে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে নাজমুল হাসান মিলনকে সঙ্গে নিয়ে ঝড়ো গতিতে ৭০ রানের জুটি গড়েন সোহাগ গাজী। কিন্তু এই জুটি বেশি দূর এগোতে দেননি মুজিবুর রহমান। নিজের চতুর্থ ওভারে এসে তিন উইকেট তুলে নিয়ে সিলেটের হারের শঙ্কা তৈরি করেন। মলিনকে ফেরানোর পর নাঈম ইসলামকে পথ ধরান। পরের বলেই ৩১ বলে ৫১ রান করা সোহাগকে ফেরান।
গাজী আউট হলে শেষ ওভারে সিলেটের জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ১৫ রান। শেষ বলে ৩ রান। সেসময় আল-আমিন ওয়াইড ডেলিভারিতে ১ রান দিলে শেষ বলে দুই রান নিতে যেয়ে রান আউট হন মনির হোসেন। ফলে সমান ১৪০ রানে থামে সিলেট থান্ডারের ইনিংস। কুমিল্লার হয়ে মুজির উর রহমান ৪ ও পেসার আল-আমিন হোসেন নেন ২টি উইকেট।
আপনার মতামত লিখুন :