শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৩ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:৪৫ সকাল
আপডেট : ০৩ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:৪৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার মতো কতোজন যোগ্য শিক্ষক বাংলাদেশে আছেন?

 

কামরুল হাসান মামুন : ‘নতুন আরও দুই সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়’ আসলে কি আমরা বিশ্ববিদ্যালয় মানে বুঝি? আমাদের নীতিনির্ধারকরা কি বোঝে? অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক গোস্বা করে ক্যামব্রিজে চলে যায়। সেটাই হলো কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার মূল কারণ। অর্থাৎ প্রাথমিকভাবে শিক্ষকদের মানই নির্ধারণ করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার মতো কতোজন যোগ্য শিক্ষক বাংলাদেশে আছেন? এই সংখ্যক শিক্ষক দিয়ে কয়টা মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি সম্ভব? আমার ধারণা বড়জোর ১০ থেকে ১৫টি। এর বেশি একটিও নয়।

আর আমরা কি করেছি? এই দুটি নিয়ে প্রায় ৫০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় আর আছে প্রায় ১০০টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। আর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে যতোগুলো কলেজে অনার্স-মাস্টার্স পড়ানো হয় সেগুলোও কিন্তু একেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ই। ও সবধহ বলদামির তো একটা সীমা থাকা উচিত। আমাদের বলদামির সীমা তো সোলার সিস্টেম পার হয় গোটা বিশ্বকেও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। অনেকগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ ওই কলেজগুলোতে কারা মাস্টার্স পড়াচ্ছে? মাস্টার্স পাসরা মাস্টার্স পড়াচ্ছে। মানে এইটা কী?

গ্রামে-গঞ্জে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কারণে ওইসব এলাকার সরকারি দলের নেতানেত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর খবরদারি করে। একদিন দেখা যাবে স্কুলে কলেজের মতো বিশ্ববিদ্যালয়েও ম্যানেজমেন্ট কমিটি হবে যার সদস্য হবে এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বার আর দলের সভাপতি। যেগুলো কলেজ হওয়ার যোগ্য নয় তাদের বিশ্ববিদ্যালয় বলে বিশ্ববিদ্যালয় নামের কনসেপ্টকেই বলৎকার করা হচ্ছে। যেগুলো আছে সেগুলোতেই প্রয়োজনীয় বরাদ্দের ২০ শতাংশের এক শতাংশ দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু বানানো হচ্ছে তাই শিক্ষক তো নিয়োগ দিতেই হবে। ফলে যোগ্যদের না পেয়ে অযোগ্যদেরই শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।

তাদের কথাবার্তা আচরণ কোনো কিছুই শিক্ষকসুলভ নয়। সেই আচরণ দেখে সমাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সম্বন্ধে একটি নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে। সেই নেতিবাচক ধারণাকে ব্যবহার করে সরকার আর আমলারা মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রায়ই গালমন্দ করছে। বেশি বরাদ্দ চাইলেই বলে আপনারা গবেষণা করেন না আপনাদের বেশি বরাদ্দ দিয়ে কী লাভ? এ রকম এক বিষাক্ত চক্রের মধ্যে আমরা আবদ্ধ হয়ে পড়েছি। যারা এসব করে তারা কী দেশের মঙ্গলের কথা ভেবে করে? আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে করে? একদম নয়। তাদের ভাবনা বলদ মানুষদের সস্তা বাহবা কুড়ানো। কিছু প্রকল্প হবে দলের নেতারা মারতে পারবে। দলের নেতাদের ভিসি প্রো-ভিসি বানাতে পারবে। দলের ছাত্রদের শিক্ষক বানাবে। সব শেষে দেশের বারোটা বাজাবে। তবে দেশ-বিদেশ থেকে ভালো মানের শিক্ষক আর ভালো পোস্ট-ডক এনে যদি নিয়োগ দিতো তাহলে বুঝতাম এদের নিয়ত ভালো। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়