এম আবুল হাসনাৎ মিল্টন : আইসিইউতে শেষ দুদিন অবস্থার সামান্য উন্নতি হয়েছিলো। এইচআইএনআই (ঐ১ঘ১) ভাইরাস পজিটিভ হলেও সোয়াইন ফ্লু হয়নি বলেই ধারণা করা হচ্ছিলো। যদিও ফুসফুসের অবস্থা আগের মতোই খারাপ ছিলো। প্রতিদিন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বন্ধু শেখ মুন্নাই মাধ্যমে বাপ্পীর অবস্থার খোঁজ নিয়েছি এবং একটু একটু করে আশাবাদী হয়েছি। ফিরে এলে তাকে নিয়ে সবার উদ্বেগের কথা জানাবো বলে মনে মনে ঠিক করে রেখেছিলাম। কিন্তু বাপ্পীর চলে যাওয়ার তাড়া ছিলো। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চেনা, দুর্দিনে ছাত্রলীগের সেই সাহসী মেয়েটি, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী শেখ হাসিনার স্নেহধন্য মেয়েটি, পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার আইনজীবী মেয়েটি, গত সংসদে সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত এমপি বাপ্পী ২ জানুয়ারি ২০২০ সকালে আমাদের সবাইকে ছেড়ে চিরপ্রস্থানের পথে পা বাড়ালেন।
(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)। আর কোনোদিন ইনবক্সে বাপ্পী বলবেন না, ‘কী করি মিল্টন ভাই বলেন তো, ফেসবুকে সবাই এমনভাবে আক্রমণ করে’? আমি অভয় দিয়ে বলি, ‘হতাশ হলে চলবে না বাপ্পী, আমাদের লড়াইটা চালিয়ে যেতে হবে’। সকালে শাওন বুবু আর মামুন জানালো, বাপ্পী মারা গেছে, দশ মিনিটের মধ্যে ডেথ ডিক্লেয়ার করবে। আমি হতবাক হয়ে বলি, ‘তার অবস্থার না উন্নতি হচ্ছিলো’। মামুন বলে, ‘আইসিইউ এ রকমই। আম্মার চেতনা ফিরে এলো, কথা বললেন, তারপর হুট করে মারা গেলেন’। আইসিইউ থেকে বাপ্পীর আর জীবন নিয়ে ফেরা হলো না, আমরা হারালাম আমাদের এক আত্মার আত্মীয়, প্রিয় স্বজনকে। বাপ্পীর জন্য প্রার্থনা। আল্লাহ যেন আমাদের এই ছোট বোনটাকে বেহেশত নসীব করেন। আমিন। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :