শিরোনাম
◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি

প্রকাশিত : ০৩ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:৩৬ সকাল
আপডেট : ০৩ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:৩৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চিকিৎসায় ভুলকে ক্রিমিনাল অ্যাক্ট হিসেবে দেখা উচিত নয়, তাহলে আর এতো পড়ালেখা বা লাইসেন্সের প্রয়োজন কী?

 

গুলজার হোসেন উজ্জ্বল : আমার বন্ধু স্থানীয় বড় ভাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসক ডা. ডিউক চৌধুরীকে জেলে ভরা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ভুল চিকিৎসা দিয়ে রোগী মেরে ফেলেছেন। তার নামে মামলা করেছে রোগীপক্ষ। মামলায় তিনি কোর্টে গিয়ে জামিন চেয়েছেন। মাননীয় আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে তিনিসহ তার হাসপাতালের আরও দুইজন সহকর্মীকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। ভুল চিকিৎসার শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু সেটার একটা সুনির্দিষ্ট নীতিমালা থাকা উচিত। প্রতিটি মানুষের সীমাবদ্ধতা থাকে। চিকিৎসা একটি বিজ্ঞান। এটি সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করে, নিশ্চয়তা দেয় না। সব রোগ সবসময় সময়মতো ধরাও পড়ে না। এখানে ভুল হতে পারে। ভুল হলে জরিমানা, লাইসেন্স বাতিল এমনকি ভুলের মাত্রা অনুযায়ী জেলও হতে পারে। কিন্তু সেটা ভুল প্রমাণিত হওয়ার পরই হওয়া উচিত। সেই ভুল যিনি নিরূপণ করবেন তার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ন্যূনতম বাস্তবজ্ঞান থাকার কথা। একজন চিকিৎসক লেখাপড়া শেষ করে, ইন্টার্নশিপ শেষ করে লাইসেন্স নিয়ে তারপর চিকিৎসা পেশায় আসেন। চিকিৎসায় ভুলকে (ভুল যদি হয়েও থাকে) ক্রিমিনাল অ্যাক্ট হিসেবে দেখা উচিত নয়। তাহলে আর এতো পড়ালেখা বা লাইসেন্সের প্রয়োজন কী? বিভাগীয় তদন্ত, পেশাদার তদন্ত ছাড়া শুধু সাংবাদিক আর রোগীর লোকের কথায় প্রভাবিত হয়ে একজন চিকিৎসককে জেলহাজতে ঢোকানো চিকিৎসা পেশাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। যার প্রভাব পড়বে রোগীদের উপরই। কোনো ডাক্তার আর ঝুঁকি নিতে চাইবেন না।

কাপাসিয়ায় সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার মার খেয়ে রক্তাক্ত হয়েছেন। প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, গণমাধ্যম কোথাও কোনো উদ্বেগ নেই। কারও কোনো বিকার নেই। রেলে পুলিশ থাকে, সড়কে পুলিশ থাকে কিন্তু হাসপাতাল পুলিশ বলে কিছু থাকে না। হাসপাতালগুলোতে নিরাপত্তার কোনো বালাই নেই। কিন্তু ডাক্তারদের ছোট-বড় সব অপরাধের জন্য মিডিয়া ট্রায়াল, লিগ্যাল ট্রায়ালের কোনো অভাব নেই। ডা. ডিউক চৌধুরী ও তার সহকর্মীদের জেলে দেয়া হয়েছেÑ আমি এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি নিজেকেও নিরাপত্তাহীন মনে করছি। আমি আজ কোনো প্রাইভেট রোগী দেখবো না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি এদেশের নাগরিক। নিজের পেশার নিগ্রহ দেখলে আমারও ক্ষুব্ধ হওয়ার অধিকার আছে। এই বিকারহীন সমাজে আমি শুধু সেবা দিয়ে যাবো, আর কেউ ‘ভুল চিকিৎসা দিয়েছেন’ বললেই জেলে যাবো এ রকম তো মেনে নেয়া যাবে না। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়