বিপ্লব পাল : দেশভাগের উপর রিসার্চ পেপার সংগ্রহ করতে গিয়ে, একটা দৃষ্টিকটু পরিস্থিতি দেখতে পাচ্ছি। ভারতের ইতিহাসের যেকোনো টপিকে ( দেশভাগের ক্ষেত্রেও ) সব থেকে ভালো কাজগুলো ব্রিটিশ এবং আমেরিকান ইউনিভার্সিটি থেকে। হার্ভার্ড বা কেম্ব্রিজের কাজ উচ্চমানের হবে, সেটা এক্সপেক্টেড। কিন্তু বিদেশের মাঝারি মানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভারতচর্চার মানও, ভারতের সোকল্ড সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর থেকে অনেকটাই ভালো। ব্রিটেনে বেশ কিছু পাকিস্তান বংশোদ্ভূত ঐতিহাসিকদের গবেষণা চোখে এলো। পাকিস্তানের জন্ম, দেশভাগ নিয়ে। খুবই উচ্চমানের, প্রচুর পরিশ্রমের কাজ। কিন্তু গত ত্রিশ বছরে ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো, ভারতের ইতিহাস নিয়ে শুধুই অশ্বডিম্ব প্রসবে ব্যস্ত। অবশ্য চিরকাল এমন ছিলো না। ১৯৫০-৭০ পর্যন্ত কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ডিপার্টমেন্ট থেকে প্রকাশিত বেশ কিছু কাজ, পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে টেক্কা দেয়ার যোগ্য। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বা জেভিয়ার্সের মান এককালে সত্যিই খুব ভালো ছিলো। এসব গবেষণাপত্রের কাজের স্টান্ডার্ড দেখলেই বোঝা যায়। অনিলায়ন সব কিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। গত ত্রিশ বছর ভারতের ইতিহাস গবেষণার যা মান দাঁড়িয়েছে, আন্তর্জাতিক লেভেলে পাতে দেয়ার যোগ্য না।

ইরফান হাবিব, রোমিলা থাপার গ্যাং, ভারতের ইতিহাসচর্চার যা সর্বনাশ করেছেন, আর কিছু অবশিষ্ট আছে বলে তো মনে হয় না। না বিজেপির গেরুয়া ঐতিহাসিকরা নতুন করে আর কি ধ্বংস করবেন? ভারতের ইতিহাসের সবটাই নষ্টের দখলে। ভারতের ইতিহাসচর্চা ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে, বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিখ্যাত ভারতবিদদের নিয়ে ভারতের ইতিহাস কাউন্সিল নতুনভাবে তৈরি হোক। দেশি ইতিহাসবিদরা মধ্যমমেধার দলদাসÑ তাদের দিয়ে ভারতের নিরপেক্ষ বিজ্ঞানসম্মত ইতিহাস সম্ভব নয়। ফেসবুক থেকে