শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৩ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:৩৫ সকাল
আপডেট : ০৩ জানুয়ারী, ২০২০, ০৬:৩৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

খালেদা জিয়া কেন এখনো কারাগারে? কেন বিএনপি বারবার আন্দোলনের ডাক দিয়েও রাস্তায় নেমে দুই ঘণ্টার বেশি টিকতে পারে না?

 

সুলতান মির্জা : বিএনপি-জামায়াত গত ১১ বছরে সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, ছাত্রলীগের কারও কারও কুকর্ম তুলে ধরে এমন কোনো ইমেজ তৈরি করতে পারেনি যে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়ে গেলেই বিএনপির প্রার্থীরা বড় ব্যবধানে জয়লাভ করে উল্টিয়ে দেবে। প্রশ্ন আসতে পারে, আমার হাতে কি এমন ব্যারোমিটার আছে যা দিয়ে গণনা করে ফেলেছি যে বিএনপি এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেনি।

উত্তরে যাওয়ার আগে প্রশ্ন করতে হচ্ছে, খালেদা জিয়া কেন এখনো কারাগারে? কেন বিএনপি বারবার আন্দোলনের ডাক দিয়েও রাস্তায় নেমে দুই ঘন্টার বেশি টিকতে পারে না? কথা আসতে পারে পুলিশ দাঁড়াতে দেয় না হ্যানত্যান... জিজ্ঞেস করি, দুনিয়ার কোনো সভ্য দেশে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীদের কে রাষ্ট্রের পুলিশ ফুল হাতে রাস্তায় স্বাগতম জানিয়ে আন্দোলনকারীদের গালে চুমু খেয়ে বলে, যান আন্দোলন করে সরকারের পতন করেন।

গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে এমন উদাহরণ আছে দুয়েকটা? প্লিজ থাকলে বলুন। তো বিষয় পরিষ্কার, আজকে বিএনপি যদি এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলতো তাহলে খালেদা জিয়ার এখনো কারাগারে থাকা লাগতো না, বিএনপি সরকারবিরোধী আন্দোলনে দুই ঘণ্টা কেন দুই দিনেও ঘরে ফিরে যেতো না। পাশাপাশি বিএনপির একটা সমাবেশ করার আগে সরকারের কাছে অনুমতি ভিক্ষা চেয়ে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর দপ্তরে দ্বারে দ্বারে ঘুরতো না, কারণ আইন অমান্য ও আইন ভাঙ্গার রেকর্ড রাজনৈতিক দল হিসেবে বরাবরই এক নম্বরের রাজনৈতিক দল বিএনপি-জামায়াত, সরকার ফেলে দেয়ার এইটুকু সক্ষমতা হাতে রেখে সরকারের অনুমতির অপেক্ষায় থাকতো এ রকম ডাহা বাস্তবতা কেবল গরু-ছাগলেই বিশ্বাস করবে।

এইটুকু স্বক্ষমতা হাতে রেখে বিএনপি-জামায়াত নিশ্চিত দাঁড়িয়ে গিয়ে দেখিয়ে দিতো তারা কারা। প্রশ্ন আসতে পারে, তাহলে বিএনপি অনুমতি নিয়ে সমাবেশ করলে এতো লোক কোথা থেকে আসে? উত্তর হচ্ছে এসব লোক কেন অস্বাভাবিক? দুই আড়াইবার ক্ষমতায় থাকা দলটির কোনো সমাবেশে এ লোকগুলো কর্মী-সমর্থক না থাকলে তারা রুটিন করে সকাল-বিকাল আজব গুজব ব্রিফ করে কীভাবে? তা ছাড়া ওই যে বললাম যাই বিএনপি-জামায়াত, তাই হেফাজত, তাই আবরার হত্যায় গর্জে উঠা আদম, নূরায় ব্যথিত তারাই এবং আজকে সেই তারাই আঙুলের কটি ধরে হিসেব করছে সুষ্ঠু ভোট হলে তাদের প্রার্থীরা মেয়র নির্বাচিত হবে। হিসেব মেলাতে পারছি না, কীভাবে সম্ভব? কেন পাবলিক বিএনপির প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিজের কপালে নিজের দুর্গতি টেনে আনবে?

একদম বলতে চাচ্ছি না, গত ১১ বছরে আওয়ামী লীগ খুব শক্তিশালী হয়ে গেছে, আওয়ামী লীগের শাসন ব্যবস্থায় বেশ দুর্বলতা ছিলো, ছিলো বহিরাগত এবং সরকারে থাকা নেতা, সরকারি কর্মচারী তাদের আত্মীয়-স্বজনদের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার ব্যর্থতা। যদিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেকের ব্যবস্থা ইতোমধ্যে নিয়েছেন সামনে আরও নেবেন। এ পর্যায়ে উক্ত সব ঘটনা পুঁজি করে বিএনপি-জামায়াত কি এমন অভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে যা দেখে আমাদের বুঝতে হবে সুষ্ঠু নির্বাচন হলেই জিতবে বিএনপির প্রার্থী। তাই বলছি, আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পরাজয় নিশ্চিত করে যদি নির্বাচনের গ্রহণযোগ্য সুষ্ঠুতার প্রমাণ দিতে হয় বিএনপিকে সেক্ষেত্রে এমন সুষ্ঠু নির্বাচনের চেয়ে ভেজাল নির্বাচন অনেক ভালো। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়